বাবুল হক, মালদহ: এলাকায় করোনা নার্সিংহোম হবে, একথা রটে যাওয়া মাত্রই কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মালদহের চাঁচল। হাসপাতালের সামনে থাকা সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে তারা। আগুনও জ্বালিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মালদহের ইংরেজবাজারের এবং চাঁচলের দিশারি নার্সিংহোম অধিগ্রহণ করে করোনা চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা সেকথা জানতে পারেন। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। নার্সিংহোমের সামনে থাকা সাইন বোর্ড ভাঙচুর করতে শুরু করেন তাঁরা। সাইন বোর্ডে আগুনও জ্বালিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। মুহূর্তের মধ্যেই গোটা এলাকায় রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়।
স্থানীয়দের দাবি, করোনা রোগীদের জন্য নার্সিংহোম হলে এখানে করোনা রোগীরা আসবেন। তার ফলে জনবহুল এলাকায় খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনার মত ভাইরাস ঘটিত রোগ। তাই কিছুতেই এলাকায় করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হলে তা তাঁরা মেনে নেবেন না। সেই মতো বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। কিছুক্ষণের মধ্যে বিক্ষোভের খবর পায় পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে এই ঘটনায় গ্রেপ্তারির কোনও খবর নেই।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের একাধিক হাসপাতালকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেলেঘাটা আইডির পাশাপাশি বাঙ্গুর হাসপাতালেও শুধুমাত্র করোনা রোগীর চিকিৎসা হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও মারণ ভাইরাস মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের হাবভাবে অবাক অনেকেই। পর্যাপ্ত করোনা হাসপাতাল তৈরি না হলে কীভাবে রোগীদের চিকিৎসা সম্ভব হবে? সেকথা কেন ভাবছেন না স্থানীয়রা, উঠছে সেই প্রশ্ন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.