প্রতীকী ছবি।
বাবুল হক, মালদহ: রিল বানাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে কালিয়াচকের স্কুল পড়ুয়ার। পুলিশি তদন্তে উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিলস বানানোর সময় আচমকায় বন্দুক থেকে ছুটে যায় গুলি। আর সেই গুলিতেই মৃত্যু হয় স্কুল পড়ুয়ার। মালদহ (Malda) জেলার কালিয়াচকে গুলি কান্ডে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সাফি আলি। গুলিতে মৃত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সামিউল ইসলামের বন্ধু সাফি।
মালদহের কালিয়াচকের শ্রীরামপুরের বাসিন্দা ১৮ বছরের তরুণ সামিউল। ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন সামিউল ও তাঁর বন্ধু সাফি। সূত্রের খবর, দুপুরে হঠাৎ ছাদে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দ পান প্রতিবেশীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সেভেন এম এম পিস্তল নিয়ে মৃত ছাত্র সামিউল ও তার বন্ধু সাফি রিল তৈরি করছিল। তখনই বন্দুকের আওয়াজ পেয়ে প্রতিবেশীরা সামিউলের বাড়িতে ঢুকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। দেহের পাশে একটি আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। তড়িঘড়ি সামিউলকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সিলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক সামিউলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের মাথায় বুলেটের চিহ্ন দেখে রহস্য দানা বাধে। আত্মহত্যা না খুন তা নিয়ে ধন্দে পড়ে পুলিশ কর্তারা।
এই ঘটনায় কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায় চৌধুরী নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। সামিউলের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে টিকটক বা রিলস বানাতে পারদর্শী ছিল সে। তেমনই রিল বানাতে গিয়ে সাফি আলি তাঁর বন্ধু সামিউল ইসলামের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ধরে গুলি চালায়। গুলির আঘাতে মৃত্যু হয় অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সামিউল ইসলামের। মৃত ছাত্রের বাবা রাজীকুল ইসলাম কালিয়াচক থানায় এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তদন্তকারী পুলিশ কর্তা জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ৭ এম এম দেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাতে কিভাবে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র এলো তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.