বাবুল হক, মালদহ: মালদহ টাউন স্টেশনের ফুটব্রিজে আলপনায় ফিরোজ মিনারের ছবি আঁকা নিয়ে বিতর্ক। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ের সুলতানি আমলের স্মৃতিসৌধের ছবিটিকে দু’পায়ে মাড়িয়ে ফুটব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। আর এখানেই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোর আপত্তি উঠেছে। পূর্ব রেলের মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজারের কাছে লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইংলিশবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস।
[ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার নজরুলের চুরি যাওয়া মূর্তি, দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা]
এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার ফুটব্রিজে আঁকা হয়েছে মালদহ জেলার অন্যতম স্থাপত্য ফিরোজ মিনার। সিঁড়িতে উঠতে মিনারের সেই ছবি মাড়িয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের। রেলের এই কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ জেলার ইতিহাসবিদরা ও রেলযাত্রীরাও। তাঁদের দাবি, “অবিলম্বে মিনারের ছবি মুছে ফেলতে হবে। সৌন্দর্যায়নের নামে জেলার ঐতিহ্য নিয়ে ছেলে খেলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। সেটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।” প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড় ইতিহাস বিজড়িত স্থান। সেখানকার স্থাপত্য কীর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম ফিরোজ মিনার। সাড়ে ১৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট ফিরোজ মিনারের মাথায় উঠতে গেলে ৭৩টি সিঁড়ি ভাঙতে হয়। একই ধরনের আরও একটি ঐতিহাসিক মিনার রয়েছে ইংলিশবাজার ব্লকের নিমাইসরা এলাকায়। মালদহের ইতিহাসবিদ মহম্মদ আতাউল্লাহ বলেন, “সৌন্দর্যায়নের নামে ইতিহাসের অবমাননা করেছে রেল প্রশাসন। এটি একটি নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা রেলের এই কাজের তীব্র প্রতিবাদ করছি।”
শুধু মৌখিক প্রতিবাদই নয়, ফুটব্রিজে ফিরোজ মিনার আঁকা নিয়ে মালদহের ডিভিশনাল ম্যানেজার বা ডিআরএম-র কাছে লিখিত অভিযোগও জমা পড়েছে। মালদহ টাউন স্টেশনের ম্যানেজার দিলীপ চৌহানের সাফাই, “সিঁড়ির বিটগুলিতে আঁকা হয়েছে। সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় ওখানে পা দেওয়ার ব্যাপার নেই। তবু অনেকে দেখছি অভিযোগ করছেন। আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” মালদহের ডিআরএম তনু চন্দ্রা বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। আমরা সেই আলপনা মুছে ফেলার কথা ভাবছি।”
ছবি: হরেন চৌধুরি
[ জলসায় মদের বোতল হাতে বিজেপি নেতার কুরুচিকর নাচ, ভাইরাল ভিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.