বাবুল হক, মালদহ: আইনি জটিলতার মাঝে শেষমেশ ইস্তফা দিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। কলকাতা হাই কোর্ট তার আবেদন খারিজ করার পরই ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফলে তৃণমূলের দখলেই রইল বোর্ড।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেন তিনি। দলবদলের পর মানিকচক থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকে। ৮ জুলাই আস্থা বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে অনাস্থায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। তাঁর পক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আদালতের তরফে গৌরবাবুর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আগামী ৮ জুলাই আস্থা বৈঠক হবে।
হাই কোর্ট এই রায় ঘোষণার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। নিজের ইস্তফা পত্র পাঠান ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে। ইস্তফা প্রসঙ্গে গৌরবাবু বলেন, “দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা নির্দেশ দিয়েছে সেই কারণেই ইস্তফা দিলাম।” রাজনৈতিক মহল জানিয়েছে, যেহেতু সভাধিপতি ইস্তফা দিয়েছেন, সেই কারণে আস্থা বৈঠক হবে না। তবে নতুন সভাধিপতি কে হবেন, তা স্থির করতে বৈঠক ডাকা হতে পারে। উল্লেখ্য, মালদহ জেলা পরিষদ কার দখলে, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। কারণ, প্রথমে ওই জেলা পরিষদ তৃণমূলের দখলে থাকলেও একে একে সদস্যরা যোগ দেন বিজেপিতে। ফলে পিছিয়ে পড়তে থাকে তৃণমূল। যদিও পরবর্তীতে অনেকেই ঘর ওয়াপসি হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, ৩৭ আসনের মধ্যেই মালদহ জেলা পরিষদের ২৩ টি আসনই তাঁদের দখলে। অর্থাৎ তৃণমূলের দখলে বোর্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.