Advertisement
Advertisement
পর্যবেক্ষক

জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু ও মলয় ঘটক, স্পষ্ট করে দিলেন পুরুলিয়ার তৃণমূল সভাপতি

কর্মীদের সচেতন করতে সিপিএমের ধাঁচে পার্টি ক্লাস করানোর ভাবনা জেলা নেতৃত্বের৷

Malaly Ghatak along with Suvendu Adhikari will lead TMC in Purulia
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 7, 2019 7:43 pm
  • Updated:July 7, 2019 7:43 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দলের পর্যবেক্ষক কে? লোকসভা ভোটে খারাপ ফলাফলের পর কিছুটা ম্রিয়মাণ হয়ে পড়া কর্মীদের মধ্যে ওঠা এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে বিভ্রান্তি ঘোচালেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো। মাস দেড় আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে দলের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁর উপর দলের নানা দায়িত্ব থাকায় দূরবর্তী জেলা পুরুলিয়াকে সেভাবে সময় দিতে পারবেন না, এই আন্দাজ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককেও দলের কাজকর্ম দেখভালের দায়িত্ব দেন।

[ আরও পড়ুন: ‘ইস্পাত কারখানাকে বাঁচান’, আলুওয়ালিয়াকে ২৫ হাজার পোস্ট কার্ড পাঠাচ্ছে CITU]

তারপরই শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক পুরুলিয়ায় গিয়ে একাধিকবার দলীয় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই তৃণমূলের কর্মীদের এই প্রশ্নের মুখে তাঁকে পড়তে হয়, জেলার পর্যবেক্ষক কে? সেসময় নিজের মতো করে প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন মলয় ঘটক। রবিবার একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি ও সাংগঠনিক সভায় পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো কর্মীদের সুস্পষ্টভাবে জানালেন, ‘আমাদের জেলায় দু’জন পর্যবেক্ষক। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও মলয় ঘটক। পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হয়৷ তাই তিনি ফি সপ্তাহে এই জেলায় পা রাখতে পারবেন না। প্রায় প্রতি সপ্তাহে এই জেলায় এসে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন আরেক পর্যবেক্ষক শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। আগামী ১৬ কিংবা ১৮ জুলাই পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী পুরুলিয়ায় যাবেন বলে এদিন জানান শান্তিরাম মাহাতো। সেইদিনই একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভা হবে বলে তিনি ঘোষণা করেন।

Advertisement

পুরুলিয়ায় লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর সিপিএম-এর মতোই পার্টি ক্লাসের দিকে এগোতে চাইছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে কবে থেকে এই পার্টি ক্লাস হবে, কীভাবে  হবে, সেই এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৈঠক শেষে জেলা তৃণমূল সভাপতি মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘আমদের বহু কর্মীর মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা গড়ে ওঠেনি। ফলে রাজনৈতিক আক্রমণকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে কোন পথে, তা বোঝাতে হবে৷ যেমন, কোনও চায়ের দোকানে বিরোধীরা আমাদের সমালোচনা করলে সেখানে থাকা তৃণমূলের কর্মীরা যাতে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে পারেন, সেটা দেখতে হবে। তাই আমরা দলের কর্মীদের নিয়ে পার্টি ক্লাস করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

একুশে জুলাইকে সামনে রেখেই যে দলের কাজকর্ম আবার জোরকদমে শুরু করতে হবে, এদিন সেকথা বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক থেকে দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষক মলয় ঘটক বলেন, ‘‘বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করতে হলে দলকে সুশৃঙ্খল হতে হবে। কর্মীদের ‘ডিসিপ্লিনিড’ হতে হবে। এবার আমরা বাড়ি-বাড়ি প্রচারের পাশাপাশি স্ট্রিট কর্নার করেও রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে তুলে ধরব। দলের কথা বলব। দল কী চায়, সেটা বোঝাব।’’

[ আরও পড়ুন:পথের মাঝে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম রেল আধিকারিকের! হতবাক সাংসদ দিলীপ ঘোষ]

লোকসভা ভোটে দলের খারাপ ফলাফলের কারণে কর্মীদের হতাশাগ্রস্ত হলে চলবে না৷ এদিন এমনই ভোকাল টনিক দিলেন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। তাঁর কথায়, ‘ভোটে তো জয়–পরাজয় রয়েইছে। কিন্তু দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জনসংযোগ বাড়িয়ে আমজনতার মন জয় করতে হবে।’ এদিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যান বিভাগের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, সহ–সভাধিপতি প্রতিমা সোরেন সহ জেলার বিধায়করা।

ছবি: সুনীতা সিং৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement