Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভাইফোঁটায় মিলছে ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি, চমক তমলুকে

ভাইফোঁটার মিষ্টিমুখ।

Make Bhai dooj yummy

ভাইফোঁটার হরেকরকম মিষ্টিতে সেজেছে তমলুকের একটি দোকান।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:November 8, 2018 6:18 pm
  • Updated:November 8, 2018 6:18 pm  

সৈকত মাইতি, তমলুক:‌  দর্শনীয় তো বটেই, খেতেও সুস্বাদু। ভাইবোনের অম্লমধুর সম্পর্কের রেশকে জিইয়ে রাখতে মিষ্টির যেন জুরি মেলা ভার। আর সেই মিষ্টি যদি হয় একাবারে নতুন স্বাদের তাহলে তো কথাই নেই। স্নেহের ফোঁটার সঙ্গে নতুন স্বাদের মিষ্টিমুখ ভিন্ন মাত্রা যোগ করে বইকি। তাই ভাইফোঁটা এলেই মিষ্টিমুখে মেতে ওঠে বাঙালি। এবছর একইভাবে রসনা তৃপ্তিতে মজেছেন তমলুকের বাসিন্দারা। তবে বাজার সবথেকে বেশি হিট বেকড রসগোল্লা ও স্ট্রবেরি রসগোল্লা। পাল্লা দিচ্ছে স্ট্রবেরি লাড্ডুও। যা কিনা ভাইবোনের খুনসুটিতে ভরা মিস্টি মধুর সম্পর্কে এক আলাদা মাত্রা যোগ করেছে।

তমলুক শহরের জেলখানার মোড় এলাকার দীর্ঘদিনের প্রসিদ্ধ মিস্টান্ন বিক্রেতা অমৃতালয়। গতানুগতিক মিষ্টির পাশাপাশি দেশ বিদেশের রকমারি মিষ্টি তৈরিতে বেশ নজর কেড়েছে এই দোকান। এবছর ভাইফোঁটায় ভাল বিক্রিবাট্টার আশা নিয়েই বিপণনে জোর দিচ্ছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। তাই স্ট্রবেরি লাড্ডুর মতো বেশ কয়েকটি নতুন আইটেম তাঁরা বাজারে এনেছেন।  রসমালাই, ক্ষিরকদম কিংবা রসগোল্লা আমবাঙালির কাছে সুপরিচিত নাম। কিন্তু বেকড রসগোল্লাটা একটু আলাদা। মুখরোচকের পাশাপাশি নতুনত্ব আনতে ছানার রসগোল্লাকেই সুস্বাদু চন্দনী ক্ষিরে মাখিয়ে বেকিং করা হচ্ছে। যারফলে স্বাদেও এসেছে বদল। অন্যদিকে স্ট্রবেরি লাড্ডুও এখন কচিকাচাদের পছন্দের তালিকায়। স্বাদের থেকেও যার লোভনীয় রূপে মজেছে আট থেকে আশি সকলেই। স্ট্রবেরির সঙ্গে খোয়া ক্ষীর মিশিয়ে এক বিশেষ উপায়ে সুস্বাদু লাড্ডুটি তৈরি করা হয়েছে। এরপর এসেছে স্ট্রবেরি রসগোল্লা। তমলুক শহরে জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে এখন এই স্ট্রবেরি রসগোল্লা। ছানার রসগোল্লাকেই স্ট্রবেরির জুসে ডুবিয়ে এই রসগোল্লা তৈরি হয়েছে। আর ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল মিষ্টি হিসেবে এরমধ্যেই বোন ও দিদিদের নজর কেড়ে নিয়েছে এই রসগোল্লা।

Advertisement

[সীমান্তের কাঁটাতারে মোমবাতি জ্বালিয়ে দীপাবলি উদযাপন বিএসএফের]

এছাড়া ড্রাইফ্রুটস তো রয়েইছে। তবে বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ড্রাইফ্রুটস কাটলেট, আনারকলি, কাজু বরফি। গৃহবধূ সোনালী সিনহা, সৌমি চক্রবর্তীরা জানিয়েছেন, একই মিষ্টি সবসময় যেন একঘেয়েমি লাগে। তাই হাতের নাগালে নতুন রকমের মিষ্টি পেয়ে ভালই লাগছে। প্রসিদ্ধ মিস্টান্ন বিক্রেতা উৎপল কুমার সামন্ত বলেন, ‘প্রতি বছরই জামাইষষ্ঠী কিংবা ভাইফোঁটার আনন্দোৎসবে শহরবাসীর কাছে এমনই অভিনব সমস্ত উপহার তুলে ধরার চেষ্টা করে থাকি। কারণ, শুধু ব্যবসাই নয়, গুণগত মান বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মত ভাবেই হরেক রকমের মিষ্টি আমরা তৈরি করি। সেই ধারা বজায় রেখেই এবছরও খাদ্যরসিক বাঙালির প্লেট নতুন রকমের মিষ্টি দিয়ে সাজাতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

[ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার! চিত্তরঞ্জনের ইঞ্জিন যেন ‘উসেইন বোল্ট’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement