অর্ণব দাস, বারাকপুর: জামিনে মুক্ত পানিহাটি পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত (Anupam Dutta) খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে পানিহাটি চত্বর। জামিনের খবর পেয়েই ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী মীনাক্ষীর। বর্তমানে সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ১৩ মার্চ। ওইদিন সন্ধেয় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পার্টি অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। স্কুটিতে বসার সময় পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। তদন্তে নেমে গ্রেপ্তার করা হয় বাপি পণ্ডিতকে। সোমবার আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে আগরপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এদিন রাতে বিটি রোডে টায়ার জ্বালিয়ে তেঁতুলতলায় রাস্তা অবরোধে করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে প্রয়াত কাউন্সিলরের অনুগামীরা। তারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিও জানায়।
অন্যদিকে, বাপি পণ্ডিতের জামিনের খবর পাওয়ার পরই নিজের ফ্ল্যাটে সন্তানদের নিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। যদিও প্রতিবেশীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় কামারহাটি সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে অনুপম ঘনিষ্ঠ শুভাশিস রায় বলেন, “যখন বিটি রোড অবরোধ চলছিল তখন দিদি নিজের ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে দরজা আটকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। ওনার মা তখন চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন। তারপর আমরা খবর পেয়ে ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। বাপি পণ্ডিত জামিনে মুক্তি পাওয়ার কারণেই অনুপমের স্ত্রী আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে বলে জেনেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.