অর্ণব দাস, বারাসত: বিরাটির তৃণমূল কর্মী (TMC Worker) শুভ্রজিৎ দত্ত খুনে গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত বাবুলাল। উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবুলাল এক সময় দমদম, নিমতা এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রাজা দত্তের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল। সেই সময় একাধিক সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল বাবুলাল। শুভ্রজিৎ দত্তের হত্যা মামলায় এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬।
গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণের রাতে বিরাটির (Birati) বণিক মোড়ে দলীয় কার্যালয়েই ছিলেন শুভ্রজিৎ। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় বাইকে চড়ে অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েকজন যুবক তাঁর পিছু নেয়। এরপর আচমকাই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, কমপক্ষে পাঁচ রাউন্ড গুলি চলে এলাকায়। চারটি গুলি ওই তৃণমূল কর্মীর বুকে লাগে। একটি গুলি লাগে মাথায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন শুভ্রজিৎ। গুলির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে ভিড় জমান তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত যুবকেরা। খবর দেওয়া হয় নিমতা থানায়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। শুভ্রজিৎকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানান, ওই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের দাবি, ১ মিনিটের মধ্যে পাঁচটি গুলি চালিয়ে খুন করা হয় শুভ্রজিৎকে।
ওইদিন সকালেই বাবুলালের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিল বাবুলাল (Babulal)। মারধরের জেরে হাসপাতালেও ভরতিও হতে হয় তাকে। তারপর সন্ধেয় শুভ্রজিতের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। হাসপাতালে বসেই সোহান, সাগর, বিপ্লব, দিবাকরের মতো দুষ্কৃতীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী খুনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল বাবুলাল। বিপ্লব বিরাটির স্থানীয় ক্লাবে বলে তৃণমূল কর্মীর গতিবিধির উপর নজর রাখছিল। গত ২ আগস্ট মন্দারমণি থেকে পুলিশ সাগর দাস, মোহন দাস এবং বিপ্লব হালদার নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। দিবাকর গ্রেপ্তার হয় ঘটনার পরেরদিনই। এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল বিরাটির ‘ত্রাস’ বাবুলাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.