বিক্রম রায়, কোচবিহার: শীতলকুচি কাণ্ডে প্রকাশ্যে হাড়হিম করা তথ্য। নির্লিপ্ত কন্ঠে খুনের কথা স্বীকার করে নিল ‘খুনি’। জানাল ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবার ভোরে। কেনই বা এই নারকীয় হত্যালীলা?
শীতলকুচি হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের নাম বিভূতিভূষণ রায়। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংবাদমাধ্যমের সামনেই খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। নির্লিপ্ত কন্ঠে জানায় ঠিক কী হয়েছিল। ধৃতের দাবি, মৃত দম্পতির ছোট মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার। দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, ভালই চলছিল। তবে অশান্তির শুরু পরিবার জানার পরই। মৃত দম্পতি মেয়ের প্রেমিককে মানতে নারাজ ছিলেন। এদিকে পরিবারের কথা শুনে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন আহত তরুণী। এতেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে বিভূতিভূষণ। সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিকার গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়ার।
এরপরই খুনের ছক কষতে শুরু করে ধৃত যুবক। পরিকল্পনামাফিকই নাকি গতকাল রাত ১টায় প্রেমিকার বাড়িতে পৌঁছয় অভিযুক্ত। সেখানে অপেক্ষা করতে থাকে। প্ল্যান ছিল, যে বাড়ি থেকে বেরবে তাকেই আক্রমণ করবে। ভোর ৫ টা নাগাদ প্রথম বিমল বর্মন ঘর থেকে বের হন। তাঁকে ছুড়ি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় ধৃত। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর হামলা চালায় মৃতের স্ত্রী নীলিমাদেবীর উপর। তাঁর আর্তনাদ শুনে দুই মেয়ে ঘর থেকে বেরলে দম্পতির বড় মেয়ের সঙ্গে হাতাহাতি হয় বলেই জানায় ধৃত। এরপর তাকেও আক্রমণ করে। শেষে ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে প্রেমিকাকে। তবে পরপর তিনটে প্রাণ নিয়েও এক ফোঁটা অনুশোচনায় দেখা গেল না ধৃতের গলায়। যদিও ঠিক কী হয়েছিল, বিভূতিভূষণের দাবি আদৌ সত্য কি না, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.