কল্যাণ চন্দ্র, বহরমপুর: বহরমপুরের (Beharampur) যুবককে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। টাকা লেনদেনের কারণেই এই নৃশংস কাণ্ড, জেরায় ধৃত এমনটাই দাবি করেছে বলে দাবি পুলিশের। এর নেপথ্যে অন্য কেউ আছে কি না, নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বহরমপুর থানার রানিনগর এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মণ্ডল নামে ওই যুবক। বয়স ২১ বছর। গত বুধবার রাতে নিজেদের বেকারি থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও ঘরে ফেরেননি তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, রাতেই যুবকের বাবার কাছে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন যায়। তিনি বিষয়টি স্থানীয় থানায় জানান। এরপর পুলিশের পরামর্শ মেনে দেড়লক্ষ টাকা নিয়ে অপহরণকারীদের দেওয়া ঠিকানার উদ্দেশে রওনা হন। এর মাঝে একাধিকবার অপহরণকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। রাত আড়াইটে নাগাদ বেলডাঙায় ছিলেন বাপ্পার বাবা। সেই সময় থেকে আর অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। অগত্যা বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। পরেরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর বাইপাসের ধার থেকে উদ্ধার হয় যুবকের দেহ।
এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় এক অভিযুক্তকে। বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ সুপার সবরী রাজকুমার বলেন, ‘আক্রমকে কর্ণসুবর্ণ এলাকা থেকে গতকাল গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে ১৪দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আজ বহরমপুর আদালতে তোলা হচ্ছে।” কিন্তু কেন খুন? পুলিশের দাবি, অভিযুক্ত যুবক আক্রমের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল বাপ্পা মণ্ডলের। পাওনা টাকার জন্য বাপ্পার কাছে বারবার দরবার করত আক্রম। কিন্তু তা সত্ত্বেও টাকা দিচ্ছিলেন না বাপ্পা। সেই কারণেই নাকি খুন। জানা গিয়েছে, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের জন্য ফোন করার আগেই খুন করা হয় যুবককে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রমের পুরনো ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে পুলিশের কাছে। তবে ওই খুনের ঘটনার পিছনে আক্রম ছাড়া আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটাও তদন্ত চলছে। উদ্ধার হয়েছে বাপ্পা মণ্ডলের মোটর বাইক। শুধুমাত্র পাওনা টাকার জন্যই বাপ্পা মণ্ডলকে খুন করা হয়েছিল না এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সেটাও তদন্ত করে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.