চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। ধৃত ইমরান শেখ। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত সে। বীরভূমের মাড়গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। নিহতের পরিবারের তরফ থেকে মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। তার মধ্যে প্রথমেই নাম ছিল ধৃতের। এই নিয়ে খুনের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে, রবিবার সকালে নিহতের বাড়িতে যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। স্বজনহারা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
মনোনয়ন জমার প্রথম দিন গত শুক্রবার সন্ধেয় ফুলচাঁদ তাঁর বন্ধুদের নিয়ে রতনপুর গ্রামে ভোটপ্রচার করছিলেন। অভিযোগ, মাঠের দিকে ঢোকার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে খড়গ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় যুবকের। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের তরফ থেকে মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়।
অভিযোগ পাওয়ামাত্রই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। খুনের দশ ঘণ্টার মধ্যে কাজল শেখ ও সফিক শেখ নামে এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, তাদের জেরা করে ইমরান শেখের খোঁজ পাওয়া যায়। এদিকে, রবিবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাজ্য পুলিশের ভূমিকার ক্ষোভপ্রকাশ করেন। বলেন, “অসহায় পরিযায়ী শ্রমিককে কেন খুন করা হল মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিন। শুধু খোকাবাবুকে নিরাপত্তা দিলে চলবে না। রাজ্যবাসীকেও গুরুত্ব দিতে হবে।” এলাকায় পুলিশ ক্যাম্পেরও দাবি জানান কংগ্রেস নেতা।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.