ধীমান রায়, কাটোয়া: পেটের তাগিদে বারাকপুরে পরিচারিকার কাজে এসেছিলেন কালনার এক বধূ। লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন মালিকের বাড়িতেই। ফলে দীর্ঘদিন মাকে কাছে না পেয়ে কাঁদছিল তাঁর সন্তানরা। তাই বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন বধূ। আর সেটাই কাল হল। অভিযোগ, স্রেফ বাড়ি ফিরতে চাওয়ার অপরাধে ওই বধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করেন গৃহকর্তা। বর্তমানে কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা।
দুই সন্তানকে নিয়ে অভাবের সংসার কালনার বছর ৩৬-এর জয়দিহা বিবির। অতিকষ্টে বারাকপুরের লাটবাগান এলাকায় এক পুলিশকর্মীর বাড়িতে কাজ পান তিনি। সেখানে যোগ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই করোনা আতঙ্কে লকডাউন জারি হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কর্মস্থলেই আটকে পড়েন ওই বধূ। এ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক থাকলেও, দীর্ঘদিন লকডাউনে মা বাইরে আটকে পড়ায় কাঁদতে কাঁদতে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই পরিচারিকার বড়ছেলে। এতেই সমস্যার সূত্রপাত।ওই বধূ বাড়ি ফিরবেন বলে পুলিশকর্মীরা কাছে ছুটি চাইতেই বেঁকে বসে সে। শুরু হয় হুমকি দেওয়া।
সূত্রের খবর, হুমকির তোয়াক্কা না করেই বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন ওই বধূ। বকেয়া টাকাও দাবি করেছিলেন। অভিযোগ, এরপরই মহিলার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত পুলিশকর্মী যুগল কুমার। কোনওক্রমে পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বধূকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়। বর্তমানে কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভরতি তিনি। নির্যাতিতার বোনের অভিযোগ, দগ্ধ অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় প্রায় ৯ দিন ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল জয়দিহা বিবিকে। তাঁদের দাবি কঠোর শাস্তি দিতে হবে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে। যদিও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.