Advertisement
Advertisement

Breaking News

তৃণমূলের লোকসভার প্রার্থী লড়াকু মহুয়া, কৌশলী বার্তা মমতার

রাজনৈতিক মহলের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পরিশ্রমের পুরস্কার পেলেন মহুয়া মিত্র৷

Mahua Moitra to contest from Krishnanagar with the ticket of TMC
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 12, 2019 9:40 pm
  • Updated:March 13, 2019 12:13 am  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: লোকসভায় কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হলেন করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র। সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে এনআরসি-সহ একাধিক ইস্যুতে সরব হতে দেখা যায় শাসকদলের এই লড়াকু নেত্রীকে৷ রাজনৈতিক মহলের মতে মহুয়াকে সেই পরিশ্রমেরই পুরস্কার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কৃষ্ণনগরের মতো বর্ধিষ্ণু কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করে লোকসভায় তৃণমূলের আওয়াজ আরও পোক্ত করার ব্যবস্থা করলেন তিনি। উচ্চশিক্ষিতা মহুয়াকে প্রার্থী হিসাবে পেয়ে স্বভাবতই খুশি কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের মানুষ।

[‘স্বামীর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চাই’, প্রতিজ্ঞা নিহত বিধায়কের স্ত্রীর ]

খুশি মহুয়াও৷ প্রথমেই তিনি ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ বলেন, ‘দল যে দায়িত্ব দিয়েছে তা ভাল করে পালন করার চেষ্টা করব৷ আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও সরব হব৷’ কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ইলা পালচৌধুরির পরিবারের সন্তান মহুয়া মৈত্র। সে অর্থে নদিয়া জেলার নেতা-কর্মীরা তাঁর পূর্ব পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন৷ একসময় রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগদান করেন মহুয়া মৈত্র৷ এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন৷ ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়ার করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়েন। এবং জয়লাভ করেন৷ কংগ্রেসে বিধায়ক অরবিন্দ মণ্ডলের পর ফের ডানপন্থী কোন বিধায়ক ওই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। জানা গিয়েছে, বিধায়ক হিসাবে এলাকায় তাঁর যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে৷ এলাকার মানুষের জন্য যথেষ্ট কাজ করেছেন তিনি৷

Advertisement

[উলুবেড়িয়ায় ফের প্রার্থী সুলতান-ঘরনি, জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী সাজদা আহমেদ]

কলকাতার বাসিন্দা হলেও, পড়াশোনা ও চাকরির সুবাদে মহুয়া মৈত্রর জীবনের অনেকটা সময়ই কেটেছে বিদেশে। অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। অনেকদিন নিউইয়র্কের কর্মরত ছিলেন। বর্তমান কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর উৎসাহে ২০০৮-এ চাকরি ছেড়ে দেশে ফেরেন৷ কংগ্রেসে যোগদান করেন। এবং এরপর তৃণমূলে যোগদান করেন৷ রাজ্যের শাসকদলের অন্যতম লড়াকু নেত্রী তিনি৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্রও৷ এনআরসি-র প্রতিবাদে জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement