Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘মহুয়া’য় মন মজেছে কৃষ্ণনগরের, প্রথম দিনেই নজরকাড়া প্রচার

দিল্লি জয় নিয়ে ভরপুর আত্মবিশ্বাসী মহুয়া মৈত্র৷

Mahua Moitra starts poll campaign
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 15, 2019 3:17 pm
  • Updated:March 15, 2019 10:57 pm  

পলাশ পাত্র, তেহট্ট: তাঁকে নিয়ে গোড়া থেকেই মানুষের উৎসাহের শেষ নেই৷ রাজনৈতিক কাজকর্মে হাত পাকানো তিনিও বোঝেন মানুষের এই স্বতস্ফূর্ততা৷ তাকে হাতিয়ার করেই ২০১৬-এ বিধায়কের চেয়ারে বসেছিলেন৷ সাধারণ মানুষের আশা, ভরসা পূরণ করেছেন উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে দিয়ে৷ এবার তিনি দিল্লির যাওয়ার পথ মসৃণ করতে নেমেছেন৷ কৃষ্ণনগর কেন্দ্র অর্থাৎ যে কেন্দ্রে বিধায়ক হয়েছিলেন। এবারেেে লোকসভা ভোটে লড়ছেন তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র৷ শুক্রবার প্রথম প্রচারে নেমেই বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আত্মবিশ্বাসী৷

[বাগনানের বিধায়ককে খুনের ছক! অভিযোগের তির বিজেপির দিকে]

Advertisement

এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ কৃষ্ণনগর জেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে প্রচার মিছিল শুরু করেন মহুয়া৷ হালকা এবং গাঢ় সবুজ শাড়িতে প্রথম দিনই প্রার্থীর নজর কেড়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী৷ সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত ও বুথ স্তরের কর্মী, সমর্থকরা৷ প্রায় ৪ কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছে যান কৃষ্ণনগরের রবীন্দ্রভবনে৷ সেখানে শহিদদের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তৃণমূল প্রার্থী৷ সেখান থেকে পৌরসভায় গিয়ে সকলের সঙ্গে দেখা করেন৷ পদযাত্রা থেকেই তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণনগরের সঙ্গে আমার আলাদা সম্পর্ক৷ এখান থেকেই আমি বিধায়ক হয়েছি৷ মানুষ আমার উন্নয়নের কাজ দেখেছেন৷ আমার জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই৷ আমি বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে চলতে চাই৷ তাঁদের সঙ্গে পরামর্শ করেই প্রচার কর্মসূচি ঠিক হবে৷’ রাজ্যস্তরের লড়াইয়ে ফুল মার্কস পেয়েছেন৷ এবার জাতীয় স্তরে লড়াই৷ কিন্তু প্রথম প্রচারেই এত আত্মবিশ্বাসী কোনও প্রার্থীকেই বোধহয় দেখেননি কৃষ্ণনগরবাসী৷ এদিন পদযাত্রার মাঝেই সাংবাদিকরা তাঁর কাছে জানতে চান, গত দু বারের সাংসদ তাপস পালের অসমাপ্ত কাজ কি তাঁর ভোটে প্রভাব ফেলবে৷ সরাসরি এর জবাব এড়িয়ে গিয়ে মহুয়ার উত্তর, ‘আমি আমার কাজ দেখিয়েই জনসমর্থন চাইব৷’ প্রচার মিছিলের মাঝেই অর্জুন সিং প্রসঙ্গেও নিজের প্রতিক্রিয়া স্পষ্ট করেন মহুয়া মৈত্র৷ তাঁর কথায়, ‘দু দিন আগেও আমাদের সঙ্গে কাজ করেছেন উনি৷ দলের সুপ্রিমো নিজে তাঁকে বুঝিয়েছিলেন৷ এরপরও কেউ দল ছেড়ে চলে গেলে, সেটা নীতির প্রশ্ন৷ অন্য কিছু নয়৷’

[প্রথম দফায় রাজ্যের দুই আসনে থাকবে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী]

৪ কিলোমিটার পদযাত্রার পর এদিন কৃষ্ণনগরের দলীয় কার্যালয় পৌঁছে আবার ব্লকস্তরের নেতা, কর্মীদের নিয়ে প্রার্থী আলোচনায় বসেন৷ ছিলেন পঞ্চায়েত নেতৃত্বও৷ অর্থাৎ লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের জন্য জেলার প্রতিটি স্তরে নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়েই প্রস্তুত হচ্ছে মহুয়া মৈত্র৷ আর সেইসঙ্গে নিজের কাজ, কথা, ব্যবহার আর আত্মবিশ্বাসে ভর করে সাধারণ মানুষের মন জয় করাকেই পাখির চোখ করছেন তৃণমূল নেত্রীর অত্যন্ত স্নেহের এবং কাছের পাত্রী কৃষ্ণনগরের মহুয়া৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement