সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ‘দিদির দূত’ (Didir doot) হয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসংযোগ করছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। শুনছেন আমজনতার অভাব-অভিযোগের কথা। সমাধানের আশ্বাসও দিচ্ছেন। তৃণমূলের নতুন এই কর্মসূচিতে গিয়ে নানাবিধ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হচ্ছেন তারকা বিধায়ক, সাংসদরা। এবার নলহাটিতে গিয়ে অদ্ভুত সমস্যার কথা শুনলেন বীরভূমের তারকা সাংসদ শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। এক মহিলা কাঁদতে কাঁদতে তাঁর কাছে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানালেন। তা শুনে সাংসদ আশ্বাস দেন, পুলিশকে বলে তাঁর স্বামীর খোঁজ করাবেন। এদিকে, বাঁকুড়ার কাঁকড়াডিহিতে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে পরিবেশন করে খাওয়ান। এলাকার এক মন্দিরে গিয়ে যোগ দেন রামনাম সংকীর্তনে। কৃষ্ণনগরের নাকাশিপাড়ায় সাংসদ মহুয়া মৈত্রও সকলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে শোনেন সমস্যার কথা।
বৃহস্পতিবার দিনভর জনসংযোগ, মন্দিরে যাওয়া, কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটালেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। তিনি ঘুরলেন নলহাটির পাইকপাড়া এলাকায়। সকালে নলহাটির পাইকপাড়ার আশ্রমপাড়ার কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে জনসংযোগ শুরু হয় সাংসদের। আশ্রম পাড়ার লোকেরা শতাব্দী রায়কে এসে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জানান। পাশের গ্রাম কুকুরায় গিয়ে অদ্ভুত সমস্যার কথা শুনতে হয় তাঁকে। মাঝবয়সী এক মহিলা সাংসদের কাছে স্বামীকে ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন। মহিলা জানান, তাঁর স্বামী গত দু’বছর থেকে ঘরছাড়া। সাংসদ শুনলেন, আশ্বাসও দিলেন। সমস্ত অভিযোগ খাতায় লিখে রাখতে বলেন তাঁর আপ্ত সহায়ককে।
দিন দুই ধরে ‘দিদির দূত’ বাঁকুড়ায় রয়েছেন দলের আরেক তারকা যুবনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayantika Banerjee)। তিনি এদিন দুপুরে কালচার, কুমিদ্দা এলাকায় যান তিনি। এলাকাবাসীকে নিজের হাতে পরিবেশন করে খাওয়ান। আটপৌরে ভাবে পরা ঘি রঙা শাড়িতে অনেকটাই ঘরের মেয়ে হয়ে উঠেছিলেন রুপোলি পর্দার নায়িকা। বিকেলের দিকে কাঁকড়াডিহির একটি মন্দিরে গিয়ে যোগ দেন রামনাম সংকীর্তনে। সায়ন্তিকার কথায়, ”রাম কারও একার নয়। সকলেই তাঁকে শ্রদ্ধা-ভক্তি জানাতে পারেন। আমি জনসংযোগ করতে এসেছিলাম। এখানে কিছুক্ষণ কাটিয়ে গেলাম।”
অন্যদিকে, নিজের সংসদীয় এলাকা কৃষ্ণনগর (Krishnanagar)জুড়ে লাগাতার জনসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mohua Moitra)। বৃহস্পতিবার তিনি নাকাশিপাড়া, চাপড়া এলাকায় ঘুরেছেন। সকলের কথা শুনেছেন। দুপুরে মাঠে পরিবেশন করে সকলকে খাইয়েছেন। তাঁর কথায়, ”মধ্যাহ্নভোজের মাধ্যমে আমরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.