ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: অতিসক্রিয়তার জের। আগ বাড়িয়ে মাধ্যমিকের (Madhyamik) টেস্ট পরীক্ষা নিয়েছে রাজ্যের বহু স্কুল। এবার সেসব স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উপর বাড়তি চাপ। ফের পরীক্ষায় বসতে হবে তাদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) অধীন স্কুলগুলিতে ১৩ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা হওয়ার কথা। এমনই নির্দেশ স্কুলশিক্ষা দপ্তরের। প্রত্যেকটি পরীক্ষা শেষে প্রশ্নপত্র মেল করে পাঠিয়ে দিতে হবে পর্ষদে। কিন্তু গত ১৬ নভেম্বর স্কুল খোলার পরই বহু স্কুল টেস্ট নেওয়া শুরু করে দেয়। তাতেই বিপত্তি। এই সব স্কুলগুলিকে ফের টেস্ট নিতে হবে।
টেস্ট সংক্রান্ত সূচি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্কুলগুলিকে ১ ডিসেম্বর জানিয়েছে পর্ষদ। তারপর পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছে বিভিন্ন স্কুল। কিন্তু কলকাতার পাঠভবন, বালিগঞ্জ শিক্ষা সদন, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, নিউ হরাইজন, শ্যামবাজার এভি, সেন্ট লরেন্সের মত কিছু স্কুল ইতিমধ্যেই টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে নিয়েছে। সেই পরীক্ষা ‘টেস্ট’এর মর্যাদা পাবে না কি ফের পরীক্ষা নিতে হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে আমরা অফলাইন পরীক্ষা নিয়েছি। সেই পরীক্ষাকে মান্যতা দেওয়ার আবেদন জানাব। অনুমোদন না মিললে ফের পরীক্ষা হবে।” ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা ৭ থেকে ১৬ মার্চ। তার আগে দু’বার পরীক্ষা নিলে পড়ুয়াদের উপর মানসিক চাপ পড়তে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবকরা। পাঠভবনে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের বক্তব্য, “বারবার পরীক্ষা হওয়ার ফলে ছাত্রছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি হবে। ফের পরীক্ষা না নিয়ে ক্লাস হলে ভাল হত।”
যে প্রতিষ্ঠানগুলিতে মাধ্যমিকের টেস্ট সংক্রান্ত বোর্ডের নিয়ম ভাঙা হয়েছে, তাদের উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে পর্ষদ। এই অবস্থায় কোনও স্কুল বোর্ডের সময়সীমা মেনে টেস্ট না নেওয়ার আবেদন করলে নমনীয়তার ইঙ্গিত দিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পরীক্ষা নিয়ে নেওয়া স্কুলগুলি আগে জানাক, তারা নিয়ম ভেঙে কেন পরীক্ষা নিয়েছে। ফের পরীক্ষা নিতে হবে কি না, তা আবেদনের ভিত্তিতে আমরা খতিয়ে দেখে জানাব।”
নিয়ম অনুযায়ী, ফের প্রশ্ন তৈরি করে স্কুলগুলিকে পরীক্ষা নিতে হবে। তবে আবেদন করলে পুরনো পরীক্ষাতেই সিলমোহর দিতে পারে পর্ষদ। এবার উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট হবে ৫০ নম্বরের। মাধ্যমিকের কত নম্বরের হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পর্ষদ সভাপতি আগেই জানিয়েছেন, ৯০ নম্বর করেই টেস্ট হবে। দুই ক্ষেত্রেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে নির্দিষ্ট স্কুল। উত্তরপত্র দেখার দায়িত্বও স্কুলের। প্রতিদিন পরীক্ষা মিটলে প্রশ্নপত্র মেল করে পাঠাতে হবে। বাছাই করা প্রশ্ন নিয়ে টেস্টপেপার তৈরি করবে পর্ষদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.