রাজা দাস, বালুরঘাট: পরীক্ষা হলের মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর খাতা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষিকার। ঘটনাটি জানতে পেরে অভিযুক্ত শিক্ষিকার শাস্তি চেয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। আজ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ালে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পরীক্ষার ছেঁড়া খাতাটি মেরামত করে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রধান শিক্ষিকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালুরঘাট গার্লস হাই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুপ্রীতি সরকারের সিট পড়েছে বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। আজ তার অঙ্ক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষের বেল বাজার পর ডিউটিতে থাকা এক শিক্ষিকা সবার কাছ থেকে খাতা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। সেসময় তিনি পরপর খাতা না নিয়ে, সুপ্রীতির খাতাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এর জেরে ওই খাতাটি মাঝখান থেকে দুই ফালা হয়ে যায়। পরে আংশিক জোড়া লেগে থাকা খাতাটি নিয়ে চলে যান অভিযুক্ত প্রমীলা সরকার।
[প্রহসন অব্যাহত, মাধ্যমিকের পঞ্চম দিনেও ফাঁস প্রশ্নপত্র]
চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে ছাত্রীটির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে অন্য ছাত্রীরা। বিষয়টি জানানো হয় পরীক্ষা হলের বাইরে থাকা অভিভাবকদেরও। এরপরই স্কুলের বাইরে ও ভিতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সবাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জেলা পুলিশের ডিএসপি-সহ বালুরঘাট থানার পুলিশকর্মীরা। ছুটে যান বালুরঘাটের পরীক্ষাকেন্দ্রের ইনচার্জ নারায়ণ কুণ্ডুও। সেখানে গিয়ে তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও ছাত্রীটির পরিবারের সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেন। খাতাটির যাতে মূল্যায়ন করা হয়, তার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলবেন বলেও জানান।
এপ্রসঙ্গে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুপ্রীতি সরকার জানায়, বেল বাজার পরেও সে শেষ একটি অক্ষর লিখছিল। কিন্তু, পরীক্ষক পরপর খাতা না নিয়ে, আচমকা তার খাতাটি ছিনিয়ে নিতে যান। সেসময় তার খাতাটির ৯০ ভাগ ছিঁড়ে যায়। শিক্ষিকার এই আচরণে তার ভবিষ্যৎ নষ্ট হতে পারে। খাতাটির মূল্যায়ন করার আবেদন জানিয়েছে সে।
বালুরঘাট খাদিমপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোমা সরকার বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করা হয়নি। সময় উর্ত্তীণ হওয়ার পরেও ছাত্রীটি লিখছিল। তখন খাতাটি নিতে গিয়ে ছিঁড়ে গিয়েছে। তারা খাতাটি মেরামত করে পাঠাচ্ছেন মূল্যায়নের জন্য। এই ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান কেন্দ্রের ইনচার্জও। খাতাটি যাতে মূল্যায়ন করা হয় তার ব্যবস্থা তাঁরা করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.