বিক্রম রায়, কোচবিহার: সমকামী সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণেই কি কোচবিহারে খুন হয়ে গেল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী? ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় সমকাম ও খুনের কথা সে স্বীকার করেছে।
[ দুর্ঘটনায় মৃত্যু, প্রতিবাদে বন্ধ হাওড়া-তারকেশ্বর শাখায় ট্রেন চলাচল]
কোচবিহারের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র শান্তনু ভট্টাচার্য। কোচবিহার শহরের রবীন্দ্রনগর গোলাপতলায় বাড়ি ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত সোমবার বিকেলে বাড়িতে একাই ছিল শান্তনু। একটি ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। আর ফেরেনি। পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালে তোর্সা নদীতে শান্তনুর মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিয়মমাফিক দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। মৃতের মোবাইলের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে শুভঙ্কর ঘোষ নামে এক যুবকের সন্ধান পায় পুলিশ। বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শুভঙ্করের বাড়ি কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারিতে। তার স্ত্রীর বাপের বাড়ি শান্তনুদের পাড়ায়। সেই সূত্রেই দু’জনের আলাপ। বিবাহিত যুবক শুভঙ্করের সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী শান্তনুর সমকামী সম্পর্ক ছিল। জেরায় শুভঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে, প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে তার স্ত্রীকে আগে থেকেই চিনত শান্তনু। স্ত্রীকে সব জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও টাকার আদায়ের চেষ্টা করত সে। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত শান্তনুকে খুনের পরিকল্পনা করে শুভঙ্কর। ঘটনার দিন ফোন করে ওই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে ডেকে পাঠায় সে। শ্বাসরোধ করে খুনের পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শান্তনুর গলার নলিও কেটে দেয় অভিযুক্ত। দেহটি ফেলে দেওয়া হয় তোর্সা নদীতে। কিন্তু, শান্তনু শুভঙ্করকে ব্ল্যাকমেল করত নাকি উলটোটা? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। অভিযুক্তকে সাতদিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস
[ উত্তরের নয়া আতঙ্ক, ৮ দিনে খাঁচাবন্দি ছ’টি চিতাবাঘ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.