আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: ‘কৃষ্ণ ছিলেন রথের সারথী। কৃষ্ণটাই ফ্যাক্টর, আর কিছু নয়।’ নির্বাচনী ময়দানে ফিরে বার্তা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের। বঙ্গ রাজনীতিতে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই একমাত্র ফ্যাক্টর, ঘুরিয়ে সেকথাই কী বলতে চাইলেন রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী? রাজনৈতিক মহল অন্তত তেমনটাই মনে করছে।
স্রেফ বিধায়ক নন, একসময়ে এ রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ছিলেন মদন মিত্র। সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হিসেবে দীর্ঘদিন জেলে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। পরে জামিনে ছাড়া পেলেও প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আর সেভাবে সক্রিয় ছিলেন না মদন। গত বিধানসভা ভোটে কামারহাটি কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, কিন্তু, সিপিএম প্রার্থী মানস মুখোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যান। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। অনেকেই বলেন, সারদা কেলেঙ্কারিতে জেলে যাওয়ার পর নাকি দলের জনপ্রিয় এই নেতার সঙ্গে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত ভাটপাড়া আসনটি ধরে রাখার ক্ষেত্রে মদন মিত্রের সাংগঠনিক ক্ষমতা ও জনপ্রিয়তার উপরই ভরসা রাখলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে নির্বাচনী জনসভার শুরুতেই ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই কামারহাটিতে রীতিমতো উৎসবে মেতে উঠেন মদন মিত্রের অনুগামীরা। তৃণমূল নেতার গলায় মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।
গতবার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে ভাটপাড়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন অর্জুন সিং। ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। লোকসভা ভোটে বারাকপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন শিল্পাঞ্চলের এই দাপুটে নেতা। কিন্তু, অর্জুন সিং-কে প্রার্থী করতে রাজি হননি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষপর্যন্ত লোকসভা ভোটের মুখে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন অর্জুন। দল ছাড়ার পর অনাস্থা ভোটে হেরে তৃণমূল পরিচালিত ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত হন তিনি। আর বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশের আগে নিয়মমাফিক বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন অর্জুন সিং।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.