অর্ণব দাস, বারাকপুর: “সাগরদত্ত হাসপাতালে কোনও দালালরাজ চলবে না, ধরতে পারলে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে ছবি তুলবেন”, সুপারকে নির্দেশ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)। অসাধু উপায়ে রোগী ভরতির চেষ্টা হলে চামড়া গুটিয়ে নেওয়ার হুমকিও দিলেন। সাফ জানালেন, অন্যায় চোখে পড়লেই পদক্ষেপ করবেন তিনি। হাসপাতাল চত্বর থেকে দিলীপ ঘোষকেও কটাক্ষ করলেন মদন।
ঊর্ধ্বমুখী রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালগুলিতে বেডের অভাব রয়েছে। অক্সিজেনের অভাবও দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সাগরদত্ত হাসপাতালে দালালরাজের অভিযোগ উঠছে বারবার। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কোভিড রোগীদের ভরতি থেকে দেহ নামানো সব ক্ষেত্রেই মোটা টাকা দাবি করছেন কর্মীরা। এই খবর পেয়ে শুক্রবার হাসপাতালে যান কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। সুপারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপরই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন মদন মিত্র। বলেন, “আমি সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। শুনেছি এখানে টাকা নেওয়া হচ্ছে, ধরতে পারলে আগে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মানুষের কাছে ছবি পাঠানো হবে। শুনেছি এখানকার অনেক গুণ্ডা ছিল, কোনও গুণ্ডামি বরদাস্ত করা যাবে না। কেউ গুণ্ডামি করে রোগী ভরতির চেষ্টা করলে পিটিয়ে চামড়া গুটিয়ে দেব। ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে মারব।” দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে বলেন, “আমি দিলীপ ঘোষ নই যে শুধু মুখে বলব।”
করোনা পরিস্থিতিতে বারাকপুর-কামারহাটি এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা সাগরদত্ত মেডিক্যাল কলেজ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে অব্যবস্থার ছবি উঠে আসছে। ইমারজেন্সিতে করোনায় মৃতদের দেহ জমিয়ে রাখা হচ্ছে। বেডের আকালের কারণে বাধ্য হয়ে ৫০০০-১০০০০ টাকার বিনিময়ে বেড নিতে হচ্ছে।। অন্যদিকে সুপারের ঘরের সামনে সারি সারি নতুন বেড জমিয়ে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ ছিল। এদিন সমস্যা সমাধানে ময়দানে নামলেন মদন মিত্র।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.