সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লড়াই এবার শুভেন্দু অধিকারী বনাম মদন মিত্রর। উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে সপ্তাহের প্রথমে সভা করে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। আর তার পালটায় রবিবাসরীয় দুপুরে খড়দহ এলাকায় বড়সড় মিছিল, সভা করলেন এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র (Madan Mitra)। সেখান থেকেই শুভেন্দুর নাম করে হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি। বললেন, ”চমকে-ধমকে লাভ নেই। ফের তৃণমূল ক্ষমতায় আসবে। সেদিন শুভেন্দু, তুমি বাড়িতে বসে থেকো।” শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করায় যে কোনও ক্ষতিই হবে না, আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সে কথা বললেন তিনি। অনেকদিন পর রাজনৈতিক সভা করে মদন মিত্র বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর বক্তব্যের ঝাঁজ কমেনি এতটুকুও।
দীর্ঘদিনের দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের তরফে ‘বেইমান’ তকমা পেয়েছেন আগেই। সেই একই সুর ধরে এবার মদন মিত্রও বিঁধলেন তাঁকে। খড়দহের জনসভা থেকে তাঁর বক্তব্য, ”লড়াই করতে গিয়ে যদি লাশ বের হয়, তাহলে একটাই অনুরোধ। লাশের উপর লিখে দেবেন – এটা বেইমানের লাশ নয়, এটা ইমানদারের লাশ।” এ নিয়ে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি। পাশাপাশি এও স্পষ্ট করে দিলেন যে তৃণমূল এবং তাঁর সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়নি। বললেন, ”কেউ যদি বলে থাকেন যে আমাকে দল বের করে দিয়েছে, ভুল বলছেন। বের করে দেয়নি। বরং যা দিয়েছে, তা আমি কোনওদিন ভুলতে পারব না।”
এদিন দুপুরে খড়দহের বিটি রোডে মদন মিত্রর নেতৃত্বে বিরাট মিছিল করেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। পুরনো নেতাকে কাছে পেয়ে সকলে যে দ্বিগুণ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে, মিছিলের দৈর্ঘ্যই তার প্রমাণ। এরপর বিটি রোডের পাশে অস্থায়ী মঞ্চে মদন মিত্র বক্তব্য রাখার সময়েও দেখা গেল বহু মানুষের সমাগম। জায়গা না পেয়ে অনেকে পাশের বহুতলের ছাদ থেকেও নেতার ভাষণ শোনেন। এদিনের সভায় বক্তব্য রেখেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও।
বক্তব্য শেষে মদন মিত্রর কথার রেশ ধরেই স্লোগান ওঠে – ‘শুভেন্দু অধিকারী দূর হঠো’। একুশের ভোটের আগে শুভেন্দুর দলত্যাগের পর তাঁর মোকাবিলায় নেমেছেন তৃণমূলের বহু দুঁদে নেতাই। এবার সেই তালিকায় যোগ হলেন মদন মিত্র। পাশাপাশি, বোঝা গেল, আসন্ন বিধানসভার লড়াইয়ে তাঁকে বেশ সক্রিয় ভূমিকাতেই দেখা যাবে। হয়ত ফের আগের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রীর রাজনৈতিক কেরিয়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.