স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতা: সিঙ্গুরে কারখানার যন্ত্রাংশ নিলাম করবে রাজ্য সরকার৷ আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে চাষযোগ্য জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়ে যাবে৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই এ ব্যাপারে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন৷ তার পরই কারখানার জমিতে পড়ে থাকা যন্ত্রাংশ ও কাঠামোর অংশ নিলাম করবে রাজ্য৷ নবান্ন সূত্রে খবর, ৮ বা ৯ তারিখ নিলামের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ প্রায় একশো একর জমিতে পুরনো কারখানার নানা অবশেষ রয়েছে৷ বৃহস্পতিবারই সিঙ্গুরে জমি হস্তান্তরের কাজ পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আলু ও রবিশস্যের মরশুমে জমিতে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থার কাজে যাতে কোনওরকম শৈথিল্য না হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে যান তিনি৷ তিনি বলেন, “জমি চাষযোগ্য করে তোলার বিষয়ে জলসেচের প্রয়োজনে ৫৬টি মিনি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কাজ দ্রুতভাবে চলছে৷ কৃষকদের স্বার্থে মোট ১৫৬টি মিনি টিউবওয়েল বসানোর প্রয়োজন হলে তাও বসানো হবে৷” তিনি কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে খাসেরভেড়ি, বেড়াবেড়ি, গোপালনগর মৌজায় যান৷
প্রতিদিনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কোনও না কোনও মন্ত্রী গিয়ে কাজের অগ্রগতি দেখে এসেছেন৷ ছিলেন আর এক মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তও৷ সেচমন্ত্রী এদিন জানান, অনেক জায়গায় জমি খুঁড়ে ওয়াটার বডি তৈরি করা হয়েছিল৷ বর্তমানে ৭০টি পাম্প চালিয়ে চ্যানেল কেটে জলাশয়গুলি থেকে জল বের করার কাজ চলছে৷ সেচমন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুর নিয়ে যে ইতিহাস তৈরি করেছেন, তাতে মানুষ তাঁকে ‘বিশ্বজননী’ হিসাবে চিনবেন৷” কৃষকদের স্বার্থে প্রশাসন সবরকমভাবে কাজে নামবে বলেও স্পষ্ট জানান তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.