ছবি: প্রতীকী।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: একটা সরকারি চাকরি চাই, পদ যাই হোক না কেন। তাই অষ্টম পাশ শিক্ষাগত যোগ্যতার চাকরির আবেদনে ভিড় করছেন এমএ-বিএড পাস করারাও!
বর্ধমান বন বিভাগে বন সহায়ক পদে নিয়োগের আবেদনপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার বর্ধমানের রমনাবাগান জুওলজিক্যাল পার্কে বন দপ্তরের কার্যালয়ে এই আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কথা। কিন্তু সকাল ৮টা থেকেই শয়ে শয়ে চাকরিপ্রার্থী লাইনে দাঁড়িয়েছেন। আবেদন পত্র জমা দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করেছেন। সেই ভিড়ের লাইনে দেখা গিয়েছে উচ্চ শিক্ষিতদের।
স্নাতক উত্তীর্ণ বহুজনই ছিলেন চাকরির আবেদনের লাইনে। স্নাতকোত্তর করেছেন, বিএড করেছেন এমন অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন। এমনকী কেন্দ্রীয় টেট পরীক্ষায় বসেছেন এমনও ছিলেন বন সহায়ক পদের চাকরির আবেদন পত্র জমা দেওয়ার লাইনে। মেমারি থানার রসুলপুর থেকে এসেছিলন প্রত্যুষা দত্ত। তিনি ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেছেন। তারপর বিএডও করেছেন। এখন অষ্টম পাশ যোগ্যতার চাকরির লাইনে দাঁড়িয়েছেন তিনি। প্রত্যুষা বলেন, “একটা চাকরি চাই। যে যোগ্যতারই হোক না কেন। তাই আবেদন পত্র জমা দিতে এসেছি।” জামালপুর থেকে এদিন এসেছিলেন অভিজিৎ আয়ুশী। তিনিও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। তিনি বলেন, “কাজকে ভালবাসি। চাকরি প্রয়োজন। যে যোগ্যতারই হোক। কোনও কাজই ছোট নয়। তাই আবেদন করতে এসেছি।”
রায়নার অর্ঘ্যপ্রতীম কোঁয়ার বিএসসি পাস করেছেন। বিএডও করেছেন। তিনিও এদিন আবেদনপত্র জমা দিতে এসেছিলেন। কাটোয়ায় বাড়ি হিমাদ্রী দাসের। তিনি হস্টেলে থেকে বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় এমএ করছেন। এদিন তিনিও লাইনে দাঁড়িয়েছেন আবেদন পত্র জমা দিতে। তিনি বলেন, “সরকারি চাকরি তাই আবেদন করছি।” এদিন লাইনে এমন অনেকেই ছিলেন যাঁরা এর আগেরবারও আবেদন করেছিলেন। ইন্টারভিউ পর্যন্ত এগিয়েছিলেন কিন্তু চাকরি পাননি। পূর্বস্থলীর সুবোধ মল্লিক তাঁদেরই একজন। তিনি বলেন, “আগেরবার ইন্টারভিউও খুব ভাল হয়েছিল। কিন্তু তার পর চাকরিটা হয়নি। শুনেছি ভিতর থেকে সব হয়ে গিয়েছিল। এবারও আবেদন করলাম। দেখি কী হয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.