Advertisement
Advertisement
মড়ক

পুরুলিয়ায় মড়কের মুখে গবাদি পশু, রোগ নিরাময়ে তৎপর সংশ্লিষ্ট দপ্তর

করমাটাঁড় গ্রামেই গত দু’সপ্তাহে আটটি গরু মারা গিয়েছে।

Lumpy skin disease of cattle: A growing problem in Purulia
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 23, 2019 1:13 pm
  • Updated:September 23, 2019 10:39 pm  

সুমিত বিশ্বাস , পুরুলিয়া: গরু-ছাগলের কার্যত ‘মড়ক’ লেগেছে পুরুলিয়ায়। গবাদি পশু-র এই ‘মড়ক’-এ মাথায় হাত পুরুলিয়ার প্রাণীপালকদের। চলতি বর্ষায় সবার প্রথমে ছাগলের ‘পিপিআর’ রোগ ছড়িয়ে যাওয়ায় একের পর এক মৃত্যু হচ্ছিল। এবার ‘লাম্পি স্কিন’ রোগ থাবা বসিয়েছে গরুর ওপর। শুধু মানবাজার এক নম্বর ব্লকের ভালুবাসা গ্রাম পঞ্চায়েতের করমাটাঁড় গ্রামেই গত দু’সপ্তাহে আটটি গরু মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ। চলতি ভাষায় এই রোগকে বলে ‘পক্স ক্যাটেল’।

[আরও পড়ুন: সালিশি সভায় ২ যুবককে মারধর, প্রতিবাদে ব্লক অফিস ঘেরাও স্থানীয়দের]

জেলা প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক উত্তম কুমার বিশ্বাস বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে গরু মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন এলাকায় শিবির করা হচ্ছে। সেরামের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার বেলগাছিয়ায় পরীক্ষার জন্য পাঠনো হয়েছে। তবে ছাগলের রোগ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে।” জেলার একাধিক ব্লকে গরু-ছাগলের এই রোগে চিকিৎসার জন্য প্রাণীপালকদের ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ফলে রোগগ্রস্থ গবাদি পশু নিয়ে কার্যত পথে বসে গিয়েছেন তাঁরা। প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুর এই ‘লাম্পি স্কিন’ রোগের জন্য সেভাবে কোন ভ্যাকসিন নেই। মূলত অ্যান্টিবায়েটিক দিয়েই চালাতে হয়। তবে এই রোগের চিকিৎসা চললে মৃত্যু ঠেকানো সম্ভব। অভিযোগ, সঠিক চিকিৎসা ও সচেতনতার অভাবে একের পর এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গরুর মৃত্যু হচ্ছে। তবে ছাগলের ‘পিপিআর’ রোগে ভ্যাকসিন থাকলেও এরাজ্যে তার অভাব রয়েছে বলেই অভিযোগ।

Advertisement

এ বিষয়ে মানবাজার এক নম্বর ব্লকের ব্লক প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মাহাতো বলেন, “মড়ক বিষয়টি ঠিক নয়। আমার কাছে খবর রয়েছে গত দু’সপ্তাহে ‘লাম্পি স্কিন’ রোগে আক্রান্ত হয়ে এই ব্লকে চারটি গরু মারা গিয়েছে। আমরা প্রচার করে বলছি এই রোগ হলে গরুর চিকিৎসা করান। তাহলে বাঁচানো যাবে।” কিন্তু অভিযোগ গ্রাম-গ্রামে সেভাবে প্রাণীবন্ধু ও প্রাণীমিত্রাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি আত্মা প্রকল্পের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠকে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার গবাদি পশুর চিকিৎসার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়ালে প্রাণীবন্ধু, প্রাণীমিত্রা এবং ব্লক প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন আধিকারিকদের ফোন নম্বর লিখে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যাতে গবাদি পশুর চিকিৎসার প্রয়োজন হলে প্রাণী পালকরা কোন সমস্যায় না পড়েন। সপ্তাহ খানেক আগে জেলাশাসক এই নির্দেশ দিলেও এখনও জেলার সব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই কাজ হয়নি। যদিও ওই বৈঠকে প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল বিভিন্ন গ্রামে গবাদি পশুর চিকিৎসা কোথায় হবে তার নাম, মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিসপ্লে বোর্ড টাঙিয়ে দেবেন।

[আরও পড়ুন: লাখ টাকার গাছ চুরি, সালিশী সভা বসিয়ে শাস্তিদানের পথে গ্রামবাসীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement