সৌরভ মাজি, বর্ধমান: চৈত্র সেল মুরগিতে। শুনতে অবাক লাগছে তাই না। হ্যাঁ, সোমবার বর্ধমান চৈত্র সেলের মতই দেদার বিক্রি হল গোটা মুরগি। দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! উঠবেই। মাত্র ১০০ টাকায় চার চারটে গোটা মুরগি। না, মুরগির ছানা নয়, বড় ব্রয়লার মুরগিই। প্রতিটি ওজন এক কিলোগ্রামেরও বেশি।
রীতিমত সেলের বাজারের মতই গাড়ি দাঁড় করিয়ে হেঁকে হেঁকে বিক্রি হল মুরগি। অনেকেই সস্তায় পুষ্টিকর খাবার ঘরে নিয়ে গিয়েছেন ঘরে। করোনার কারণে মুরগি মাংসের বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অনেকেই ভয়ে মুরগির মাংস খেতে চাইছেন না। ফলে যাঁদের মুরগির ফার্ম রয়েছে তাঁরা সব থেকে বেশি সমস্যা পড়েছেন।
বড় হয়ে গেলে মুরগির আর ওজন বাড়ে না। কিন্তু তাকে প্রতিদিন খাবার দিতে হয়। যার খরচ বিশাল। একটি মুরগির জন্য দৈনিক খাবার ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ১০ টাকারও বেশি খরচ হয়। ফলে বড় হওয়ার পর অতিরিক্ত ১০ দিন একটি মুরগি ফার্মে থাকলে ১০০ টাকার বেশি খরচ হয়ে যায় খাবার ও আনুষাঙ্গিক বিষয়। তাই কমদামে তাঁরা মুরগি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিন বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি ভরতি মুরগি নিয়ে চৈত্র সেলের মত বিক্রি করলেন শানে আলম খান নামে এক বিক্রেতা।
তিনি জানালেন, বাজারে মুরগির দর নেই। মুরগির মাংসের পাইকারি দর প্রতি কেজিতে ২০ টাকায় নেমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ফার্মে মুরগি রাখা মানে অতিরিক্ত খরচ। তাই সস্তায় এইবাবে বিক্রি করে দিয়েছেন মুরগি। তিনি জানিয়েছেন, এদিন ১০০ টাকায় চারটি মুরগি বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার থেকে হয়তো ১০০ টাকায় পাঁচচি মুরগি বিক্রি করতে হবে। যে হারে মুরগির মাংসের বাজারে করোনার প্রভাব পড়েছে, তাতে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন বিক্রেতারা। এদিন সস্তায় মুরগি কিনেছেন প্রদীপ মণ্ডল, শেহনাজ বিবি, আশিস দাস, রবি রায়রা। তাঁদের কথায়, প্রতি কেজি ২০ টাকার থেকেও কম পড়ছে দাম। সরকার বা চিকিৎসকরা তো আর মুরগি খেতে নিষেধ করছেন না। তাহলে খেলে অসুবিধা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.