সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: ভোট শেষে রাত কাবার। কিন্তু এখনও আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা বিধানসভার বালিগ্রামকে। পুলিশের টহলদারি থাকলেও এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। মঙ্গলবার ভোট চলাকালীন খুনের ঘটনা ও উত্তেজনা ছড়ানোর অপরাধে চার তৃণমূল কর্মী ও দুই কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুনের ঘটনার দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস।
মঙ্গলবার, তৃতীয় দফার ভোটে রক্ত ঝরেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। স্থানীয় রানিতলা-বালিগ্রাম এলাকায় ১৮৮ নম্বর বুথের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থক। একে অপরকে বাঁশি-লাঠি দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন দু’দলের সমর্থকরা। ঘটনার সময়ে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন টিয়ারুল আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি। সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যান তিনি। পেটে, কাঁধে ও মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে টিয়ারুলের। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে। শেষপর্যন্ত বহরমপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে টিয়ারুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে ভগবানগোলার রানিতলা-বালিগ্রাম এলাকা। কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কংগ্রেসের অভিযোগ, সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথ দখলের চেষ্টা করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভোটারদের বাঁশ-লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়। আর তাতেই মারা গিয়েছেন টিয়ারুল। আহতও হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।
বুধবার ময়নাতদন্তে পর টিয়ারুল আবুল কালামের দেহ গ্রামে আনা হলে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেসের জেলা নেতা নজরুল ইসলাম বলেন,” নিহত টিয়ারুল কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। পুলিশের কাছে আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করেছি।’ টিয়ারুলে মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি করেছেন ভগবানগোলা বিধানসভা এলাকায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিম শেখ ভুট্টোও। এদিকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লালবাগ মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বরুণ বৈদ্য বলেন, এলাকা যাতে ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.