Advertisement
Advertisement

Breaking News

জিএসটি জট ও আইনের প্যাঁচে বিলুপ্তির পথে হাওড়ার বাজি শিল্প

চিনা বাজিতে ছেয়েছে এ রাজ্যের বাজার৷

Low profits in Bengal's fireworks industry
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 4, 2018 8:34 pm
  • Updated:November 4, 2018 8:34 pm  

সন্দীপ মজুমদার, উলুবেড়িয়া: একদিকে জিএসটির খাঁড়া, অন্যদিকে আইনের জাঁতাকল। সাঁড়াশি আক্রমণের মধ্যেই পড়ে নিশ্চিহ্ন হতে বসেছে হাওড়া জেলার বাজি শিল্প৷ বাগনানের হাতুড়িয়া ও উলুবেড়িয়ার মালপাড়ায় এক সময় ঘরে ঘরে ছিল বাজি শিল্পের রমরমা। বর্তমানে রুগ্ন শিল্পের তকমা জুটিয়ে বিলুপ্তির পথে৷

[স্ত্রী-র প্রেমিককে খুন করে নদীর চরে পুঁতে দিল যুবক]

উলুবেড়িয়ার মালপাড়ায় বাজি শিল্পের সেই রমরমা এখন অতীত৷ বাগনান থানার ভুঁইঞা গ্রামে বর্তমানে মাত্র দুটি কারখানা কোনওরকমে টিমটিম রয়েছে৷ গত বছর থেকে বাজি শিল্পে জিএসটি লাগু হওয়ায় ‘লাভের গুড় পিঁপড়ে খেয়ে নিচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন বাজি প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি। এই পরিস্থিতিতে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতোই বাজি পোড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া দু’ঘণ্টা সময়সীমার কারণে বাজি বিক্রি ভীষণভাবে কমে গিয়েছে বলে তাঁরা জানান। ভুঁইঞার প্রলয় ফায়ার ওয়ার্কসের মালিক সলিল সাউ ও গুরুদাস সাউ জানান, শব্দবাজি তৈরির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে৷ তাই তাঁরা শব্দবাজি প্রস্তুত করেন না। আবার আতশবাজি তৈরি করতে গেলে যেসব উপকরণ লাগে তা আগের মতো আর সহজলভ্য নয়। প্রতিটি উপকরণের মূল্য ছয় থেকে সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে৷ অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেরিয়াম নাইট্রেট, অ্যালুমিনিয়ামচুরের মতো যৌগগুলি বাজারে অমিল হয়ে পড়ছে। আর এই কারণে আতশবাজির উৎপাদন মূল্য বেড়ে যাচ্ছে। সঙ্গত, কারণেই বাজির মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তাই বাজি বিক্রেতারা এরাজ্যের কারখানাগুলি থেকে আর বাজি কিনতে চাইছেন না৷ স্থানীয় বাজির জায়গা দখল করছে চিন৷ অপেক্ষাকৃত কম দামের সেই সব রংবাহারি আতশবাজিতে ছেয়ে যাচ্ছে এ রাজ্যের বাজারগুলিতে৷ আর তারই প্রভাবে মার খাচ্ছেন রাজ্যের বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি৷

Advertisement

[‘দলনেত্রী অনুমতি দিলে বিজেপির বি-ও থাকবে না’, দিলীপকে হুমকি অভিষেকের]

এবিষয়ে সলিলবাবু জানান, গত ৪৫ বছর ধরে বাগনানের বুকে তাঁরা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাঁদের কারখানার উপর ১৫-২০টি পরিবার প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল। পরোক্ষভাবে আরও বহু মানুষ তাঁদের কারখানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এই শিল্পে এত খারাপ অবস্থা তিনি আগে কখনও দেখেননি বলে জানান। প্রশ্ন তোলেন, গত এক বছরে জিএসটি মাশুল বাবদ তাঁদের ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করতে হয়েছে, তারপরেও এই শিল্প লাভের মুখ দেখবে কিভাবে? রাত পোহালেই দীপাবলি উৎসব, কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাজি কেনার জন্য ক্রেতাদের মধ্যে আগের মতো সেই উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কারখানায় বাজি প্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে রয়েছে, কিন্তু কেনার লোকের অভাব৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement