ধীমান রায়, কালনা: প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে স্বামীর কাছে ফিরতে চেয়েছিলেন প্রেমিকা। কিন্তু তাঁকে ছাড়তে নারাজ প্রেমিক। শেষপর্যন্ত বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে প্রেমিকাকে খুন করল সেই নাছোড়বান্দা প্রেমিক। প্রেমিকাকে খুনের পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয় প্রেমিকও। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের চন্দনপোতা গ্রাম। মৃত বধূর নাম বন্যা মণ্ডল। আত্মঘাতী প্রেমিক দীপক হালদার। প্রেমিক ও প্রেমিকার দেহ উদ্ধার করে মন্তেশ্বর থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
চার বছর আগে পূর্বস্থলীর গৌরাঙ্গ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় মন্তেশ্বরের চন্দনপোতা গ্রামের বন্যা মণ্ডলের। তাঁদের দুজনের একটি কন্যা সন্তানও আছে। কিন্তু মাস চারেক আগেই বিপত্তি বাঁধে। তাঁদের বাড়িতে নির্মাণ কাজ করতে আসে মুর্শিদাবাদের কান্দি থেকে দীপক হালদার। সেই সূত্রে বন্যা, দীপকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গিয়ে চারমাস ঘরও করে বন্যা। পরে বন্যার বাবা মেয়েকে বুঝিয়ে ঘরে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু স্বামী বন্যাকে ঘরে ফিরিয়ে নিতে রাজি ছিলেন না। সেইসময় থেকেই স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন বন্যা।
পরে ধীরে ধীরে ফের স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে সস্পর্ক স্বাভাবিক হয়। বন্যাকে বাড়িতেও ফিরিয়ে নিয়ে যেতেও রাজি হয় গৌরাঙ্গ। আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই খবর জানতে পারে প্রেমিক দীপক। আজ, শুক্রবারই স্বামীর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল বন্যার। কিন্তু দীপক বন্যাকে স্বামীর কাছে ফিরতে দিতে নারাজ। তাই বন্যাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে সে।
বন্যার বাবা তড়িৎ মণ্ডল-সহ পরিবারের অন্যরা দীপককে বাধা দিলেও আটকাতে পারেননি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে বন্যাকে এলোপাথারি কুপিয়ে চম্পট দেয় দীপক।পরে ঘূর্ণি গ্রামে আমগাছে গেঞ্জি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় প্রেমিক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোজালির সঙ্গে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও এনেছিল দীপক। বন্যার বাপেরবাড়ি থেকে সেটি উদ্ধার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.