Advertisement
Advertisement

Breaking News

Gaighata

প্রেমের টানে ছুটে যাওয়াই কাল, প্রেমিকার আত্মীয়দের বেধড়ক মারে হাসপাতালে প্রেমিক

ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রেমিকার তিন অভিযুক্ত।

Lover beaten brutally by girlfriend's relatives at Gaighata, seriously injured, 3 arresed| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 21, 2020 3:54 pm
  • Updated:November 21, 2020 4:44 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল সদ্য কলেজে ভরতি হওয়া প্রেমিক। সেটা যে জীবনের এত বড় অভিশাপ হয়ে নেমে আসবে, ভাবতেই পারেনি কেউ। প্রেমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকার পিসতুতো দাদা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রীতম দেবনাথ বর্তমানে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা (Gaighata) থানা এলাকার মাটিকুমড়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Gaighata
আহত প্রীতম দেবনাথ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আমকোলার প্রীতম দেবনাথের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাটিকুমড়ার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে দেখা করার জন্য প্রেমিকাই ডেকেছিল প্রীতমকে। সে সেখানে গেলে প্রেমিকার পিসতুতো দাদারা তাকে বেধড়ক মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে কলকাতায় রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে সে পাকর্সাকাসের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুজাপুরের বিস্ফোরণস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহের সময় আগুন, রক্ষা ফরেনসিক টিমের]

বৃহস্পতিবার ঘটে যাওয়ার দিন দুই পরও এই ঘটনার রেশ রয়েছে এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষের দু’রকম মত। প্রেমিক প্রীতমের আত্মীয়ের অভিযোগ, প্রেমিকাই নাকি তাকে ডেকে পাঠিয়েছিল দেখা করার জন্য। প্রীতম সেখানে যেতে তার উপর অতর্কিত হামলা হয়। বেধড়ক মারধরের ফলে তার নাক, মুখ, হাতে ব্যাপক আঘাত লাগে। এর জন্য দায়ী প্রেমিকার দাদারা। আবার প্রেমিকার পরিবারের পালটা দাবি, প্রীতমের সঙ্গে তাঁদের মেয়েরই এক বান্ধবীর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে প্রীতম এই ছাত্রীকে নতুন করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তা প্রথমে খারিজ করেছিল নবম শ্রেণির ছাত্রীটি। এরপর প্রীতম নিজেই জোর করে বৃহস্পতিবার রাতে কথা বলার জন্য তাঁদের বাড়ির সামনে দেখা করতে চায়। মেয়ে তাতে রাজি না হলেও, ছেলেটির জোরজবরদস্তিতে দেখা করতে রাজি হয়। এরপরই ছাত্রীর আত্মীয়দের দাবি, তাঁরা কেউ প্রীতমকে আঘাত করেননি। কারণ, এধরনের ঘটনা ঘটানোর মানসিকতা তাঁদের নেই।

[আরও পড়ুন: ভোটের আগে জঙ্গলমহল ছাড়ল ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে শাসকদল]

তবে নবম শ্রেণির ছাত্রীর দাদাদের বিরুদ্ধে প্রীতমের মা গাইঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তার ভিত্তিতে ছোট্টু মাঝি, মিলন মাঝি ও রাকেশ বৈরাগী নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ। তাদের শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement