দেব গোস্বামী, বোলপুর: একেই বোধহয় বলে ট্রেনিং। এতদিন ধরে নিজস্ব কায়দায় ভোট ‘ম্যানেজ’ করেছেন ভালোভাবেই। তাঁর হাত ধরেই বীরভূমের রাঙামাটিতে ফুটে উঠেছিল ঘাসফুল। লাল দুর্গ ধসে পড়েছিল। গত দুদশকেরও বেশি সময় ধরে এখানকার নির্বাচন হতো তাঁর ফর্মুলা মেনেই। আর সেই ‘টেকনিক’ যে ভালোভাবেই শিখে নিয়েছেন দলীয় কর্মীরা, তা স্পষ্ট হল তাঁর অনুপস্থিতিতে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনেও বীরভূমে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বিলি হচ্ছে বাতাসা, নকুলদানা। তা দেখে অনুব্রত মণ্ডলের ‘গুড় বাতাসা’ দাওয়াইয়ের কথা মনে পড়তে বাধ্য। অনুব্রত নিজে জেলবন্দি হলেও জেলায় তাঁর ‘উজ্জ্বল উপস্থিতি’।
সোমবার, চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ভোটগ্রহণ হয় বীরভূমের দুই কেন্দ্র – বীরভূম ও বোলপুর কেন্দ্র। সকাল থেকে মোটের উপর নির্বিঘ্নেই চলে ভোটগ্রহণ পর্ব। যদিও এই প্রথম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সশরীরে না থাকায় দলীয় কর্মীরা যেন একটু স্তিমিত। কাজল শেখের মতো অনুগামীরা বলছেন, সংসারে অভিভাবকের অভাব বোধ হচ্ছে।
ভোটের দিন সকালের এই ফিকে আবহাওয়া অবশ্য বেলা বাড়তেই উধাও হয়ে যায়। বোলপুর (Bolpur) পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে গোয়ালপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী বাবু দাস বিলি করছেন বাতাসা, নকুলদানা, পানীয় জল। তাঁর নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা থালাভর্তি বাতাসা, নকুলদানা নিয়ে হাতে হাতে বিলি করছেন। সাধারণ ভোটারদেরই দেওয়া হচ্ছে তীব্র গরমে শীতল থাকার এসব দাওয়াই। ঠিক যেমনটা হতো অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)নেতৃত্বে ভোট পর্বে।
তবে শুধুই কেষ্ট-ফর্মুলায় বাতাসা বিলিই নয়। বিতর্কেও জড়ালেন তৃণমূল নেতা বাবু দাস। বুথ থেকে কিছুটা দূরে এই তৃণমূলের ক্যাম্পে বসে ফোনে সরাসরি বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেওয়ার হুমকি দিতেও দেখা গেল তাঁকে। নিজেই বললেন, যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে, সকলের বাড়িতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে গিয়েছে, তাতে এই এলাকার কোনও বুথেই বিরোধী এজেন্টরা আর বসতে পারেননি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.