নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নির্বাচনী প্রচারে একইদিনে বাংলায় তিন তিনটি জনসভা করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বর্ধমান-পূর্ব, কৃষ্ণনগর ও বোলপুরের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করেছেন। শুক্রবার শেষ সভাটি তিনি করেন বোলপুরের আমোদপুরে। আর সেখান থেকেই বিশ্বভারতী নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। বোলপুরের বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমে বিশ্বভারতী সম্পর্কে নাতিদীর্ঘ ভাষণ দেন। তার পর শুরু করেন রাজনৈতিক প্রচার।
আমোদপুরের জনসভা থেকে মোদি বললেন, ”বীরভূমের (Birbhum) সঙ্গে আমার আত্মিক যোগাযোগ, সম্পর্ক আছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vishvabharati University) আচার্য পদে আছি। সেই কারণে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। বীরভূমের মানুষ আমার খুব কাছের। আমি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ২৫ বৈশাখ, গুরুদেবের জন্মদিনে বোলপুরে এসেছিলাম। আর সেখান থেকেই ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা প্রকল্প’ ঘোষণা করেছিলেন। সেই প্রকল্পের জন্যই আজ বহু গরিব মানুষ উপকৃত হচ্ছেন।”
আগামী সপ্তাহে ২৫ বৈশাখ। তার ঠিক আগেই লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বোলপুরের মাটিতে পা রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তা তাঁর নিজস্ব বক্তব্যেই স্পষ্ট। মোদির কথায়, ”সামনেই আসছে ২৫ বৈশাখ, গুরুদেবের জন্মদিন। তার আগে এই মাটিতে এসে আমার আবেগ আর রুখতে পারছি না। এই মাটি থেকে নত হয়ে গুরুদেবকে প্রণাম জানাই। আর আপনারা যাঁরা এসেছেন, বাড়ি ফিরে সকলকে মোদির নমস্কার জানাবেন।”
এর পরই প্রধানমন্ত্রী শুরু করেন রাজনৈতিক বক্তব্য। বলেন, ”যে মাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindranath Tagore) জন্মভূমি, কর্মভূমি, সেখানে এখন দুর্নীতি চলছে। আপনারা পারেন এর বদল আনতে।” এদিন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন বলে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা নানা হাতের কাজ নিয়ে এসেছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে সব সংগ্রহ করেন প্রধানমন্ত্রী। উপহারদাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সবাইকে চিঠি পাঠাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.