ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দেড়েক আগে এ রাজ্যে দাঁড়িয়েই বাংলার জন্য ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তার পর থেকে ওই ৩৫-কেই লক্ষ্যমাত্রা ধরে এগোচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। এমনকী শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে দাঁড়িয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা গিয়েছে, বাংলা থেকে যে ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা অমিত শাহজি (Amit Shah) বেঁধে দিয়েছেন, সেটা পূরণ করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
অথচ সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীই যেন শুভেন্দুদের ‘গুগলি’ দিয়ে গেলেন। ৩৫ নয়, মোদি বলে গেলেন, লোকসভায় (Lok Sabha 2024) বাংলার সব আসনেই এবার পদ্মফুল ফোটাতে হবে। এতদিন এরাজ্যে বিজেপির বিস্তারে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংখ্যালঘু ভোট। সে তথ্য প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানেন। আরামবাগের মঞ্চে সে কথা স্বীকারও করেছেন মোদি। সেই সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও জাহির করে গিয়েছেন তিনি। মোদি (Narendra Modi) বললেন,”এতদিন ওদের একটাই ভরসা ছিল সংখ্যালঘু ভোট। এবার সংখ্যালঘু মা-বোনেরাও বিজেপিকে সমর্থন করবেন।”
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিয়াল্লিশে ৪২ আসনের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের ফলাফল সেবার ভালো হয়নি। এবার মোদিও সেই একইভাবে রাজ্যের সব আসনে পদ্ম ফোটানোর ডাক দিলেন। সেই সঙ্গে সুকান্ত-শুভেন্দুদের কাজটাও আরও কঠিন করে গেলেন। ৩৫ থেকে ৪২, হঠাত কেন লক্ষ্যমাত্রা বাড়ালেন মোদি? তাহলে কি সন্দেশখালির পর গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বাস বেড়েছে? নাকি নেহাতই ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? শুরু হয়েছে গুঞ্জন।
বিজেপি (BJP) সূত্রের খবর, ৩৫-এর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই হিমশিম খেতে হচ্ছিল বঙ্গ নেতাদের। দলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় নাকি আগেরবারের জেতা সব আসন ধরে রাখা নিয়েও সংশয় ধরা পড়েছে। সেখানে ৪২ আসনের লক্ষ্যপূরণ কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.