ইস্তেহার প্রকাশের মঞ্চে বিজেপি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের ভোটপ্রচারে ফের মোদির অস্ত্র রোহিঙ্গা ইস্যু। রায়গঞ্জে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা অস্ত্রে আরও একবার ধর্মীয় বিভাজনের অঙ্ক উসকে দেওয়ার চেষ্টা করলেন মোদি (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী বলে গেলেন, এ রাজ্যে রামনবমীর শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় না। এ রাজ্যে CAA’র বিরোধিতা করা হয়, আবার রোহিঙ্গাদের ঢুকিয়ে জনবিন্যাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা হয়।
রায়গঞ্জের (Raigunj Lok Sabha Election) সভায় মোদি বললেন, “বাংলায় কীসের অনুমতি পাওয়া যাবে, কীসের পাওয়া যাবে না। সেটা তৃণমূলের তোলাবাজরা ঠিক করে, প্রশাসন ঠিক করে না। এখানে রামনবমীর শোভাযাত্রা করার অনুমতি পাওয়া যায় না। কিন্তু যারা রামনবমী আর দুর্গাপূজার শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়ে, তাঁদের পাথর ছোঁড়ার অনুমতি আছে।” বস্তুত রামনবমীর আগে আরও একবার হিন্দুদের ধর্মীয় আবেগ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করে গেলেন প্রধামন্ত্রী।
এদিন সংক্ষিপ্ত ভাষণের শুরু থেকেই মোদি বিভাজন অস্ত্রে খেলে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আজ বাংলার যে সব ভাইবোন বিভাজনের শিকার, দেশভাগের শিকার, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধিতা করে তৃণমূল। অথচ, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে বাংলার জনবিন্যাস এবং আইনশৃঙ্খলা নষ্ট করার অনুমতি দিয়ে রেখেছে। এরা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর জন্য বাংলার ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে।” বস্তুত, মোদি তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে সাহায্য করার অভিযোগ তুললেও এর পালটা যুক্তিও আছে। প্রশ্ন উঠছে, সীমান্ত রক্ষার দায় তো বিএসএফের। অনুপ্রবেশ হলে সেই দায় কেন্দ্র এড়ায় কী করে?
রায়গঞ্জে সংখ্যালঘু ভোটার এবং হিন্দু ভোটার প্রায় সমান সমান। ২০১৯ সালে দাঁড়িভিট পরবর্তী মেরুকরণের সুফল পেয়েছিল বিজেপি। সামান্য ব্যবধানে জিতেছিলেন দেবশ্রী চৌধুরী। এবারেও সেই মেরুকরণকেই অস্ত্র করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটা তাঁর এদিনের ভাষণে স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.