ফাইল ছবি
সুমন করাতি, হুগলি: শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী তিনবারের বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুঁদে রাজনীতিক হলেও ভোটের মুখে প্রচারে কোনও খামতি নেই। প্রচণ্ড গরমেও প্রচারে ব্যস্ত তিনি। ইতিমধ্যেই চারটি বিধানসভায় প্রচার করা হয়ে গিয়েছে তাঁর। মানুষের কাছে যখন যাচ্ছেন ভুলে যাচ্ছেন সমস্ত ক্লান্তি। “মানুষের মুখের হাসি দেখেই সব কষ্ট দূর হয়ে যাচ্ছে”, বলছেন কল্যাণ। নিজেকে সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর তাঁর।
শনিবার সকালে হুগলির কোন্নগরে প্রচার করেন কল্যাণ। হাতিরকুল লোকনাথ মন্দিরে পুজো দেন। জনসংযোগের পর যান কোন্নগর শকুন্তলা কালীমন্দিরে। সেখানেও পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরিয়ে ডায়েট চার্ট নিয়ে মুখ খোলেন কল্যাণ বলেন, “গরমের মধ্যে শরীর সুস্থ রাখতে তেমন খাওয়াদাওয়া কিছু হচ্ছে না। প্রাতঃরাশে অবশ্যই থাকছে ফল। সেই তালিকায় তরমুজ তো রয়েছেই। দুপুর বেলায় হালকা খাওয়াদাওয়া। প্রচার সেরে রাতে বাড়ি ফিরেও হালকা খাওয়াদাওয়া করছি।” শুধু কল্যাণই নন। রাজনীতিকদের প্রায় সকলেই হালকা ডায়েট চার্টই মেনে চলছেন। রচনা থেকে দীপ্সিতা কিংবা কল্যাণ সকলেই খাদ্যতালিকা প্রায় একইরকম।
এদিন অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতার বিরুদ্ধেও সুর চড়ান কল্যাণ। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে বলেন, “পরিবারতন্ত্র নিয়ে কোনও অসুবিধা নেই। ভালো উকিলের ছেলে ভালো উকিল হবে, ভালো বিচারপতির ছেলে ভালো বিচারপতি হবে। পাঁচ-ছয় প্রজন্ম ধরে এটাই হয়ে আসছে। বিজেপি অনেক সময় এটা নিয়ে বলে। কিন্তু বিজেপিও এটা করে।” বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ নিয়েও মুখ খোলেন কল্যাণ। বলেন, “রাজ্যপালের কোনও ক্ষমতাই নেই। রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানবেন না। রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.