নিজস্ব চিত্র
সৈকত মাইতি, তমলুক: তৃণমূলের অনশনরত শিক্ষকদের মঞ্চে হামলায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের। রাজ্য তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মইদুল ইসলাম অভিযোগ দায়ের করেন। খুনের চেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে তমলুক থানার পুলিশ।
বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, ময়নার তিলখোজা এলাকার প্রশান্ত দাস-সহ অন্তত ৫০ জনের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম। খুনের চেষ্টা, হামলা, ভাঙচুর-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। মইদুল ইসলামের অভিযোগ, “গত কয়েকদিন ধরে পর্যায়ক্রমে আমাদের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতাল মোড়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। আর সেখানে অতর্কিতে শান্তিপূর্ণ এই ধরনা মঞ্চে হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। বিজেপি প্রার্থীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় এই হামলায় এক শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়। তাঁর শ্লীলতাহানিও করা হয় বলেই অভিযোগ। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে আগামিদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।” যদিও এ বিষয়ে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমান। আর তাতেই ঈর্ষান্বিত হয়ে অনশন মঞ্চ থেকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়। ফলে খানেকটা উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হামলার অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন।”
উল্লেখ্য, গত শনিবার তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মনোনয়ন জমা দেন। সেই মতো তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বেরয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরাও তাতে অংশ নেন। হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছনোর পর ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ, এই হাসপাতাল মোড় এলাকাতেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। অভিযোগ, অনশনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর প্রত্যক্ষ প্ররোচনাতেই বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলেই অভিযোগ। হামলায় এক শিক্ষিকা এবং দুই শিক্ষক নেতা জখম হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। তাদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পালটা আবার পথ অবরোধের ডাক দেয় তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.