চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: এবার পঙ্গপালের (Locust) হানা আসানসোলের জামুড়িয়ায় (Jamuria)। চোখের নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক গাছের পাতা। আতঙ্কে প্রমাদ গুনছেন স্থানীয়রা। তবে এই পতঙ্গগুলি আদপেও পঙ্গপাল কিনা তাই নিয়ে ধন্ধে রয়েছে জেলা প্রশাসন।
জামুড়িয়ার পড়াশিয়া এলাকায় শিব মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে হঠাৎই দেখা দিয়েছে পঙ্গপালের আতঙ্ক। পলকেই ফাঁকা হতে শুরু করেছে জঙ্গলের গাছ-গাছালির সবুজ পাতা। মুন্ডহীন কনিষ্কের মত ন্যাড়া মাথা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে মহীরুহের ডালপালা। আর সেই গাছের ডালে, গায়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পঙ্গপালের দল। ঘটনার ছবি দেখে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। করোনার মধ্যেই এই পতঙ্গ একে একে চাষের জমি, সবজির বাগানে হানা দিলে সর্বনাশ হয়ে যাবে বলেই প্রমাদ গুনছেন স্থানীয়রা। ফলে পঞ্চায়েতের সদস্যদের দ্রুত এই রাক্ষুসে পতঙ্গের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা অজয় কুমার মণ্ডল বলেন “গত দু-তিন দিন ধরে এলাকার গাছের পাতা নিমেষে শেষ হয়ে যাচ্ছে। গ্রামীণ এলাকায় কৃষি জমিতে যদি পঙ্গপাল ঢুকে যায় তাহলে নিমেষের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে সবকিছু”। তবে এই পতঙ্গগুলি পঙ্গপাল কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসনের সদস্যরা। জামুড়িয়ার বিডিও কৃষানু রায় জানান, “ওই কীটগুলি পঙ্গপাল কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে জেলা কৃষি দপ্তরকে। তারপরেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
তবে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের পর বাংলায় পঙ্গপাল হানা দিলেও তাদের অবস্থান যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না তা আগেই জানিয়ে ছিলেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। কারণ পঙ্গপালের দল সেখানেই স্থানী আস্তানা গড়ে তুলবে যেকানে তারা ডিম পারতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পলিমাটি পঙ্গপালের বসবাসের জন্য একেবারেই অনুপযোগী। সাধারণত বেলেমাটিতেই এই রাক্ষুসে পতঙ্গের দল থাকতে পছন্দ করে বলে জানায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.