Advertisement
Advertisement

Breaking News

Agnimitra Paul-Locket Chatterjee

‘মেলার মাঠে দেহব্যবসা চলছে বলে বিশ্বাসই করি না’, অগ্নিমিত্রার উলটো সুর লকেটের

বোলপুরে নয়া কৃষি বিল নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।

Locket Chatterjee opposes Agnimitra Paul's comment on flesh trade at Vishva Bharati| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 26, 2020 10:46 pm
  • Updated:September 26, 2020 10:50 pm  

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ”পৌষমেলার মাঠে দেহব্যবসা চলছে, এই কথা আমি বিশ্বাস করি না এবং মানিও না।” বিশ্বভারতী বিতর্কে বিজেপি মহিলা মোর্চা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের (Agnimitra Paul) সম্পূর্ণ উলটো সুর শোনা গেল এবার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) গলায়। শনিবার বোলপুরে গিয়ে তিনি অগ্নিমিত্রার মন্তব্যের বিরোধিতায় সুর চড়ালেন। পাশাপাশি কৃষি বিল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার এবং দলের বিরোধিতা নিয়েও কটাক্ষ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ।

শনিবার বোলপুরে কেন্দ্রের কৃষি আইন নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই উঠল বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারকা-সাংসদের মন্তব্য, ”বিশ্বভারতী মানেই খোলা আকাশ, খোলা প্রাণের জায়গা। পৌষমেলার মাঠে সেক্স- র‍্যাকেট চলছে, এই কথা আমি বিশ্বাসও করি না, মানিও না। কে বলেছে আমি জানি না। বিশ্বভারতী নিয়ে এই ধরনের কথা বললে আমার মন খারাপ লাগে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে বড় ঘোষণা মমতার, দীর্ঘদিন পর খুলতে চলছে রাজ্যের সিনেমা হলগুলি]

মেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে গত মাসে বিশ্বভারতীতে (Vishva Bharati) যে নজিরবিহীন অশান্তি তৈরি হয়েছিল, তারপর সেখানে গিয়ে বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন যে মেলার মাঠে দেহব্যবসা চলে, তাই তা ঘিরে দিলে অনেকের অসুবিধা হবে। তাঁরাই বিরোধিতা করছেন। তাঁর মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তবে এর বিরোধিতা করেছিলেন দলেরই আরেক সাংসদ, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন অধ্যাপক অনুপম হাজরা। এবার দলের আরেক সাংসদের মুখেও সেই বিরুদ্ধ মত শোনা গেল।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে ঊর্ধ্বমুখী সুস্থতার হার, দেখে নিন বাংলার বিভিন্ন জেলার করোনা পরিস্থিতি]

নয়া কৃষি বিল নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ”আগের কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি আইন চালু করে রেখে ছিল যে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল মাণ্ডিতে দিতে হবে। যেখানে হিমঘর নেই, সেখানে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই আইনে কৃষকরা ঠিক করবে তারা কোথায় রাখবে বা কাকে দেবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, জমি নিয়ে নেওয়া হবে। এই আইনে পরিষ্কার বলা আছে, কৃষকদের জমি কৃষকদের থাকবে কেউ নিতে পারবে না। গরু পাচার নিয়ে তিনি বলেন গরু পাচারে পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। এই পাচারে কোটি কোটি টাকা আসছে এবং নেতা মন্ত্রীদের পকেটে যাচ্ছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement