আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুর: বোমাবাজির প্রতিবাদে রেল অবরোধ উঠতে না উঠতেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সোমবার সকালে রেল অবরোধ ওঠার পরই ফের কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিংয়ে ব্যপক বোমবাজির ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দিনের আলোয় রাস্তার উপরে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে কাঁকিনাড়ায়। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা রাস্তা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় ভাটপাড়ার বিশাল পুলিশ বাহিনী। লাঠিচার্জও করা হয়।
কয়েকদিন শান্ত থাকার পর শনিবার রাত থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। বোমাবাজি শুরু হয় ভাটপাড়ার অন্তর্গত কাঁকিনাড়ার ৪ নম্বর গলির মোড়ে। গোটা এলাকায় তাণ্ডব শুরু করে দুষ্কৃতীরা৷ মুড়িমুড়কির মতো ছুঁড়তে থাকে বোমা। স্থানীয় সূত্রে খবর, এরপরই এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ সশস্ত্র অবস্থায় গোটা ভাটপাড়া-কাঁকিনাড়া চত্বরে টহলদারি চালায় তারা৷ গলিতে গলিতে ঢুকে নাকা তল্লাশি চালানো হয়৷ স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা৷
রাতে পরিস্থিতি শান্ত হলেও রবিবার সকাল থেকে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিংয়ে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। এরপর এদিন রাতে আবারও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে ভাটপাড়া থানার অন্তর্গত কাঁকিনাড়ার ২৮ নম্বর গেটের কাছে। লাগাতার বোমাবাজির জেরে গুরুতর জখম হয় একটি শিশু।ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিশুটি। বোমার শব্দ শুনে আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে শুরু করেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে প্রথমে ঘটনাস্থলে যায় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার নেতৃত্বে ব়্যাফ ও বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় নাকা চেকিং করে। রাতভর তল্লাশিতে কাঁকিনাড়ার কাটাডাঙা এলাকা থেকে ৫০টির বেশি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
এরপরই লাগাতার বোমাবাজির প্রতিবাদ ও পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে সোমবার সকাল ৯ টা নাগাদ কাঁকিনাড়ার ২৯ নম্বর রেল গেট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত করতে হবে। এদিনের বিক্ষোভের জেরে প্রায় দু’ঘণ্টা ব্যাহত হয় ট্রেন পরিষেবা। বিক্ষোভ ওঠার পর ফের কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর রেলওয়ে সাইডিংয়ের কাছে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাটপাড়া থানার পুলিশ। দুষ্কৃতীদমনে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। দিনেদুপুরে বোমাবাজির জেরে এলাকা থমথমে, আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.