সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর : জাতীয় সড়কের উপর ছড়িয়ে রয়েছে পাইপ। কোনও গাড়িরই নড়াচড়ার উপায় নেই। এভাবেই সোমবার সকাল থেকে কাঁকসার পানাগড় হাসপাতাল মোড়ের কাছে বীরভূম থেকে বর্ধমান বা কলকাতা আসার রাস্তা আটকে রাখলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর তাই জেরে দিনভর যানজটে নাকাল হলেন নিত্যযাত্রীরা। অভিযোগ, অতিরিক্ত কয়েক কিলোমিটার ঘুরে তারপর কলকাতায় পৌঁছতে পেরেছেন যাত্রীরা। অবরোধকারীদের হুঁশিয়ারি, দাবি পূরণ না হওয়ার পর্যন্ত এই রাস্তায় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না।
কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি ? দীর্ঘদিন ধরেই কাঁকসার পানাগড় হাসপাতাল মোড় থেকে কলকাতাগামী জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল। ভেঙে রয়েছে জাতীয় সড়কের এই অংশ। বারবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা মেরামতির দাবি করেও কোনও লাভ হয়নি। আর তাই সোমবার ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা জাতীয় সড়কের উপর পাইপ ফেলে অবরোধ করে।
ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ফলে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। ভাঙাচোরা রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করায় ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা। বাড়ির রান্না কিংবা স্কুলের মিড ডে মিলের রান্নাতেও মিশছে ধুলো। দূষণের জেরে প্রবীণ মানুষদের শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। এলাকার এক বাসিন্দা কুলদীপ বারুই জানান, “জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানাতে গেলেই তারা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু রাস্তার হাল আর ঠিক হয় না। যতদিন যাচ্ছে এখানে থাকাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে।” এদিকে রাস্তার বেহাল দশায় গাড়ি মালিকদেরও খরচ বেড়েছে।
এদিন অবরোধের জেরে বীরভূম থেকে যে সমস্ত গাড়ি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, তারা পানাগড়ের দার্জিলিং মোড় হয়ে পুরনো জাতীয় সড়ক ধরে যেতে বাধ্য হয়। যতদিন না জাতীয় সড়ক মেরামতি হচ্ছে, ততদিন জাতীয় সড়কের এই অংশ অবরুদ্ধ থাকবে বলে দাবি করেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। এদিন পুলিশ ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে আসেন। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের তরফে মলয় দত্ত জানান, “ওভারলোডিং গাড়ি চলাচলের ফলেই এই রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। জেলা শাসককে বলা হয়েছিল, ওভারলোডিং আটকাতে। রাস্তার মেরামতি অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। তবে স্থানীয়দের সমস্যার কথা ভেবে দ্রুত পদক্ষেপের কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.