Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাটমানি

এবার কাটমানি বিক্ষোভ বারাসতেও, কাউন্সিলরের বাড়ি ঘেরাও স্থানীয় বাসিন্দাদের

চাপের মুখে তিনি কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছেন, দাবি বিক্ষোভকারীদের।

Locals stage protest at Councillor's home in Barasat over Cut Money
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 27, 2019 2:50 pm
  • Updated:June 27, 2019 2:50 pm  

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: কাটমানি ইস্যুতে নিয়ে এবার উত্তাল বারাসত। বৃহস্পতিবার সকালে বারাসতের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাটমানির টাকা ফেরত চেয়ে এদিন কাউন্সিলর মিলন সর্দারের বাড়ি ঘেরাও করে চলে বিক্ষোভ।

[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ক্ষুর চালাল দুষ্কৃতী, দুর্গাপুরে আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলর]

বারাসতের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লির বাসিন্দাদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাউন্সিলর মিলন সর্দার মোটা অঙ্কের টাকা কাটমানি নিয়েছেন। কারও দাবি, কাউন্সিলর তাঁর থেকে আট হাজার টাকা নিয়েছেন। কেউ বলছেন, ছয় হাজার। স্থানীয়দের একাংশ আবার অভিযোগ করেছেন, সরকারি প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার বদলে ২৪ হাজার টাকা কমিশন নিয়েছেন কাউন্সিলর মিলন সর্দার। স্থানীয়দের দাবি, ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষই গরিব। যাঁরা কাটমানি দিয়েছেন, শুধুমাত্র তাঁরাই সরকারি প্রকল্পের বাড়ি পেয়েছেন। যাঁরা টাকা দেননি, কাউন্সিলর তাঁদের প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছেন। শুভেন্দু মণ্ডল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার কাছে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার জন্য ১৪ হাজার টাকা চেয়েছিলেন কাউন্সিলর। আমি দিতে পারিনি, তাই বাড়িও পাইনি। কাউন্সিলরের কাছে উলটে শাসিয়েছেন।’ বৃহস্পতিবার সকালে কাটমানি ফেরতের দাবিতে অভিযুক্ত কাউন্সিলর মিলন সর্দারের বাড়ি ঘেরাও করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, চাপের মুখে কাটমানির টাকা ফেরতও দিয়েছেন তিনি। তবে এলাকার সবাই এখনও টাকা ফেরত পাননি। পুরো টাকা ফেরত না পেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বারাসতের সুকান্ত পল্লির বাসিন্দারা।

Advertisement

সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর মিলন সর্দার। তাঁর পালটা দাবি, যদি কেউ টাকা দিয়ে থাকে, তাহলে পুরসভাকে দিয়েছে। ওয়ার্ড ডেভলপমেন্ট ফান্ডের জন্য টাকা জমা পড়েছে। মিথ্যা অভিযোগ তুলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করছে পুলিশ। কাউন্সিলরের প্রশ্ন, “যাঁরা টাকা নেওয়ার অভিযোগ করছেন, তাঁদের কাছে কি কোনও প্রমাণ আছে?’ বারাসতে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডেই সবচেয়ে বেশি মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কাউন্সিলর মিলন সর্দার।

[আরও পড়ুন: বিজেপির থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে রণক্ষেত্র গুড়াপ, পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement