Advertisement
Advertisement
শুল্ক দপ্তরের কার্যালয় বন্ধ

করোনা আতঙ্কে এবার পেট্রাপোলের শুল্ক দপ্তরের অফিসে তালা, রাস্তা অবরোধ স্থানীয়দের

অবরোধকারীদের আশঙ্কা, বাইরে থেকে কর্মীরা কাজে এলে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।

Locals shut custom office at Petrapol border, Bongaon
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 4, 2020 3:29 pm
  • Updated:May 4, 2020 3:32 pm  

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সংক্রমণের আশঙ্কায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করার দাবি উঠেছিল আগেই। এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তে শুল্ক দপ্তরের কার্যালয়ে তালা পড়ে গেল। সোমবার পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর এলাকার শতাধিক পুরুষ ও মহিলা শুল্ক দপ্তরের অফিসে তালা লাগিয়ে দিলেন। সামনের রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করলেন তাঁরা। দাবি একটাই, শুল্ক দপ্তরের কর্মীদের সেখানে থেকেই কাজ করতে হবে। বাড়ি ফেরা যাবে না। কারণ, এভাবে যাতায়াত করলেই সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়বে।

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে দেশের কয়েকটি জায়গায় সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তেও সেই নির্দেশ অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। কিন্তু বাণিজ্যের স্বার্থে বাংলাদেশি শ্রমিকরা এদেশে ঢুকছেন, তাতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। এই যুক্তি দেখিয়ে পেট্রাপোলের সাধারণ ব্যবসায়ীরাই তা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বিক্ষোভ দেখান। শনিবার এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পেট্রাপোল সীমান্ত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই রেড জোনে বিয়ের আসর, প্রবল বিতর্ক হাওড়ায়]

আর সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিন উত্তর ২৪ পরগনার এই সীমান্ত শহরে উত্তাপের পারদ আরও চড়ল। তালা পড়ে গেল শুল্ক দপ্তরের অফিসে। সামনের যশোর রোডে কাঠের গুঁড়ি ফেলে পথ অবরোধে নামলেন স্থানীয়রা। কার্যালয়ের মূল গেটে তালা দেওয়ার ফলে অফিসের ভিতরেই আটকে পড়েন কর্মী ও আধিকারিকরা। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধরে রাস্তা অবরোধের জেরে আটকে পড়ে পেট্রাপোলগামী কয়েকটি গাড়ি।অবরোধকারীদের বক্তব্য, শুল্ক দপ্তরের কর্মীরা বাড়ি থেকেই রোজ যাতায়াত করছেন৷ কারও বাড়ি খিদিরপুর, কারও আলিপুর, কারও বাড়ি আবার গোবরডাঙায়। তাঁদের মাধ্যমে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। তাই তাঁদের দাবি, কর্মীরা কর্মস্থল থেকে বাড়ি যেতে পারবেন না। সেখানে থেকেই কাজ করতে হবে।

[আরও পড়ুন: বেলেঘাটা থেকে বেলুড়, অবাধে ভ্রমণ করোনা আক্রান্তের]

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পেট্রাপোল থানার আধিকারিক কার্তিক অধিকারী। শুল্ক দপ্তরের আধিকারিক, কর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসে পুলিশ। তারপরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement