সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: শিল্পতালুকে সিন্ডিকেট রাজ চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার কারখানার বাইরে বিক্ষোভে শামিল হলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘক্ষণ বেসরকারি কারখানার গেটের বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ক্ষোভের মুখে পড়ে সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও তাতে তৃণমূলের যোগ নেই বলেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।
বৃহস্পতিবার কাঁকসা থানার ঝিনুকগোড়ে এক পিভিসি পাইপ নির্মীয়মান কারখানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান কাঁকসার মাধবমাঠের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় কাঁকসা থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের কথায়, এই কারখানা নির্মাণে মাধবমাঠের বহু মানুষের জমি নেওয়া হয়েছে। তাই কারখানায় চাকরি বা নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অভিযোগ, শুধু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেই নয় নির্মাণ সামগ্রীও সরবরাহও করা হচ্ছে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। স্থানীয় এবং ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের উদ্যোগে চলছে এই সিন্ডিকেট। ফলে জমিদাতারা কাজ পাচ্ছেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অজয় মজুমদার ও তৃণমূলের ব্লক আহ্বায়ক দেবদাস বকসি এই সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছেন। বহিরাগত শ্রমিক এনে কারখানায় কাজের সুযোগ করে দিচ্ছেন।
অভিযোগ, এবিষয়ে ক্ষোভ দানা বাঁধলে চাপে পড়ে স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে আধার কার্ডের প্রতিলিপি ও টাকা নেয় এলাকারই এক তৃণমূল নেতা। প্রায় চল্লিশ জন আদিবাসীর কাছ থেকে এইভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও মেলেনি কাজ। টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে কাঁকসা পঞ্চায়েতের সদস্য অপর্না মল্লিক জানান, “এই অভিযোগ শুনেছি। দলকে জানানো হবে। দলের কেউ যুক্ত থাকলে দলই ব্যবস্থা নেবে।” সিন্ডিকেটের অভিযোগ স্বীকার করলেও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অজয় মজুমদার। তাঁর কথায়, “তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে কেউ সিন্ডিকেট চা্লাচ্ছে। স্থানীয়রা বাধা দিচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে ওঠা সিন্ডিকেট প্রমান পারলে পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।” একইভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের কাঁকসা ব্লকের আহ্বায়ক দেবদাস বকসিও। তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যে। শিল্পতালুক তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রাই কাজের সুযোগ পাক। কিন্তু কোনভাবেই সিন্ডিকেট চলতে দেওয়া যাবে না। এটাই দলের নির্দেশ।” এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
ছবি: উদয়ন গুহরায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.