ফাইল ছবি।
নন্দন দত্ত, বীরভূম: আবারও পাঁচিল নিয়ে উত্তেজনা শান্তিনিকেতনে। বৃহস্পতিবার সকালে শান্তিনিকেতনের দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরু করলেই তাতে বাধা দেন এলাকার বাসিন্দারা। তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান স্থানীয়রা। এরপরই উপাচার্যকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা এলাকায়।
ঘটনার সূ্ত্রপাত ১ জানুয়ারি ২০২১। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে সুরশ্রীপল্লি যাওয়ার রাস্তার উপর পাঁচিল নির্মাণ করেছিল। তবে জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার শ্যাম সিং ও জেলাশাসক গিয়ে সেই নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। তারপর থেকেই ওই পাঁচিল অর্ধনির্মিত অবস্থাতেই পড়েছিল। কিন্তু ওই রাস্তা দিয়ে কেউ যাতায়াত করতে পারতেন না। কারণ, পাঁচিলটি প্রায় সাত ফুট উচু করা হয়ে গিয়েছিল। এরপরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দেওয়া পাঁচিল কেউ বা কারা ভেঙে দেয়। সেই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে যাতায়াত করতেন বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সকালে আবারও পাঁচিল নির্মাণ করতে উদ্যোগী হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সুরশ্রী পল্লী রাস্তায় পাঁচিল ঘেরার কাজ শুরু করতে গেলেই বাধা দেয় বাসিন্দারা। তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, সেখানকার কর্মী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে পাঁচিলের কাজ শুরু করার চেষ্টা করেন। সে সময় বেঁধে যায় অশান্তি। স্থানীয় বাসিন্দা হরিয়া রামানী, মিঠুন সাহানীর কথায়, “কয়েক পুরুষ ধরে রয়েছে এই রাস্তা। এখন এই রাস্তা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলতে চাইছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বোলপুরের কয়েক হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন।এই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে দমকল কোনও কিছুই ঢুকতে পারবে না।”
নিজেদের দাবিতে সোচ্চার হন স্থানীয়রা। উপাচার্যকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। অবশেষে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। পরবর্তীতে পাঁচিলের কাজ হবে কি না, তা নিয়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.