রেলের সিদ্ধান্তে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।
সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া (Howrah), শিয়ালদহ (Sealdah), খড়গপুর শাখার বেশ কিছু স্টেশনে আর নাও দাঁড়াতে পারে লোকাল ট্রেন। আর্থিক সংকট কাটাতে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। রেলবোর্ড ঠিক করেছে যে, অলাভজনক স্টেশনগুলিতে আর ট্রেন দাঁড়াবে না। এমনকী রাজনৈতিক চাপে যে স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ায় তা-ও তুলে নেওয়া হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত আগে কখনও নেওয়া হয়নি। তাই নতুন টাইম টেবিলকে একেবারে শূন্য থেকে শুরু করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নতুন এই টাইম টেবিল প্রকাশের আগে প্যাসেঞ্জার ডাটা নেওয়া হয়েছে। দেখা হচ্ছে, কোন ট্রেনে কতজন যাত্রী উঠছেন বা নামছেন। যাত্রার সময়ই বা কত। সংগৃহীত তথ্য খতিয়ে দেখে ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রী সংখ্যা তেমন না থাকলে স্টেশন থেকে তুলে নেওয়া হবে ট্রেন। রাজনৈতিক চাপে দেওয়া স্টপেজও তুলে নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মানা হবে না কোনওরকম সুপারিশ। পূর্ব রেলের অপারেশন বিভাগের এক কর্তার কথায়, “নির্দেশে সব যাত্রীবাহী ট্রেনের কথা বলা হয়েছে। ফলে তার মধ্যে এসে পড়ছে লোকাল ট্রেনও। যদিও শহরতলির ট্রেনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নির্ধারিতভাবে বলা হয়নি।”
মনে করা হচ্ছে রেলের এই সিদ্ধান্তে আর্থিক ক্ষতি কিছুটা কমানো যাবে। ট্রেনের গতি বাড়বে, সময়ও সাশ্রয় হবে। হাওড়া, শিয়ালদহ, খড়গপুর শাখায় বেশ কিছু স্টেশন রয়েছে যেখানে যাত্রী খুব কম। একটি লোকাল ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আবার চলতে শুরু করলে যে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ হয় তা সাড়ে তিনশো টাকার বেশি। মেল এক্সপ্রেসে আরও বেশি। ফলে খরচ কমাতে নতুন সিদ্ধান্ত বেশ কার্যকর হবে বলে মনে করেছেন কর্তাদের অনেকেই। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার সময় খতিয়ে দেখা হবে সাপ্তাহিক ও দ্বি-সাপ্তাহিক ট্রেনগুলির বাস্তব চিত্র। তাতেই সিদ্ধান্ত হবে ট্রেনগুলি থাকবে, না বাতিল হয়ে যাবে। সাপ্তাহিক ট্রেনের চাহিদা থাকলে তা আবার দৈনিকও করা হাতে পারে, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। এই পরিকল্পনা অনেক আগের বলে জানা গিয়েছে। নতুন এই টাইম টেবিলে ১০৯টি রুটে যে ১৫১ টি বেসরকারি ট্রেন চলার কথা ঘোষণা করেছে রেল, সেই ট্রেনের সময়সূচিও ঢোকানো হবে বলে জানা গিয়েছে। রেলের এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত দেখা দিয়েছে আধিকারিকদের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.