ফাইল চিত্র।
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: রাজ্য রাজনীতি যখন রেশন দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। তার মধ্যে রেশন সামগ্রী উপভোক্তাদের বঞ্চিত করে চালকল ও খোলা বাজারে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ। কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের এক রেশন ডিস্ট্রিবিউটর। চালকল ও খোলা বাজারে রেশন ও মিড ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগ তুলে রেশন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ ব্লকের উপভোক্তারা। ইডিকে লিখিত আকারে অভিযোগ জানান তিনি। যদিও মুর্শিদাবাদ জেলা খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের কন্ট্রোলার সুদীপ্ত সামন্ত জানান, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।”
সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা ব্লকের বেশ কয়েকজন রেশন উপভোক্তা লিখিত আকারে কলকাতার ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরকে অভিযোগ করেন, সামশেরগঞ্জের গোরুর হাটের সিতারা বেগম এম আর ডিস্ট্রিবিউটর। তার কাজ দেখাশোনা করেন দুই ভাইপো রাজা ওয়াশিম হোসেন ও হোসেন মহম্মদ কাইজার। তাঁদের বরাদ্দকৃত ৫০ শতাংশ খাদ্যশস্য, চাল, গম ও আটা রঘুনাথগঞ্জের একটি চালকল ও খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে প্রতিমাসে। সেই খাদ্যসামগ্রী বন্টন করার কথা সাধারণ খেটে মানুষদের মধ্যে। তাদের বঞ্চিত করে অবৈধভাবে চালকল ও খোলাবাজারে বিক্রি করে প্রচুর কালো টাকা আয় করে চলেছে।
মুর্শিদাবাদের ফুড কর্পোরেশনের গোডাউন থেকে এম আর ডিস্ট্রিবিউটর প্রতি মাসে তারা ৬০০টি লরিতে ৬০ হাজার কুইন্টাল খাদ্যসামগ্রী তোলে। প্রতি লরিতে ১০০ কুইন্টাল খাদ্যসামগ্রী থাকে। তার মধ্যে ২০০ লরি খাদ্যসামগ্রী চালকলে বিক্রি করে আয় করে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই সব খাদ্যসামগ্রী গরিব মানুষকে দেওয়ার জন্য তোলা হলেও তাদের বঞ্চিত করে চালকল ও খোলা বাজারে অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। গ্রাহকদের আরও দাবি, রেশনের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুলের মিড ডে মিলের খাদ্য সামগ্রীর একাংশ খোলাবাজারে বিক্রি করে দেওয়া হয়। তার ফলে সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা ব্লকের কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ এই খাদ্যশস্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বেআইনি ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.