ছবি: প্রতীকী।
বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক যুবকের মৃত্যু হয়। সেই মৃতদেহ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শ্মশানে দাহ করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল প্রশাসনিক কর্তাদের। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট শ্মশানে। প্রায় ঘন্টা খানেকেরও বেশি সময় ধরে জনতার তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। ফলে বাধ্য হয়ে পিছু হটেন পুলিশ ও প্রশাসনের সদস্যরা। পরে ওই শ্মশান থেকে মৃতদেহ অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, “পুলিশকে সঙ্গে করে শববাহী গাড়ি করে ওই মৃতদেহ রানাঘাট শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে আসা হয়েছিল। মৃত যুবক রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যায়। ওই মৃতদেহ দাহ করলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণেই তারা মৃতদেহ দাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।” যদিও ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, মৃত্যুর আগে ওই যুবকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল পরীক্ষার জন্য। রিপোর্ট আসার আগেই গত বুধবার ওই যুবকের মৃত্যু হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাখা হয়েছিল মর্গে। তবে শনিবার ওই যুবকের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অথচ তা সত্ত্বেও স্থানীয় লোকজন না বুঝে অযথা আতঙ্কিত হয়ে মৃতদেহ দাহ করতে বাধা দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চৌত্রিশ বছর বয়সী মৃত ওই যুবকের বাড়ি রানাঘাট থানার মাজদিয়া গ্রামে। বেশ কিছুদিন আগে ওই যুবক একটি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তার একটি অপারেশন হয়। তখন থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই যুবক। যদিও শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ার পর বুধবার তাকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়। সেদিনই সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর স্থানীয় লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার শববাহী গাড়ি করে ওই মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রানাঘাট শ্মশানে দাহ করার জন্য। ওই গাড়ির সামনে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। মূলত পুলিশ প্রহরায় শববাহী গাড়ি দেখেই আতঙ্কিত হয়ে লোকজন জড়ো হয়ে যান। তারা কিছুতেই এই শ্মশানে ওই মৃতদেহ দাহ করতে দিতে রাজি হননি। চাপে পড়ে ওই শ্মশান থেকে তারা মৃতদেহ অন্যত্র নিয়ে যেতে বাধ্য হন।\
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.