অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: বুধবারের হিংসার ঘটনার পর সাহেব নগরের পরিস্থিতি এখন থমথমে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রকৃত দোষীদের অবিলম্বে ধরতে হবে। এই দাবিতেই বৃহস্পতিবার সাহেবনগরের বাসিন্দারা রাজ্য সড়কের কাছে বিশ্বাসপাড়া মসজিদের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাদের লক্ষ্য করে তেড়ে যায় বিক্ষুব্ধ জনতা। স্থানীয় মানুষ পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। ওই ঘটনায় ডোমকলের এসডিপিও সন্দীপ সেন জানান, “আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। প্রকৃত দোষীদের ধরার ব্যবস্থা চলছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত আনারুল বিশ্বাসের স্ত্রী অহেদা বিবি ও মৃত সালাউদ্দিনের পিতা নুর ইসলাম থানায় এফআইআর করেছেন। তাতে নাম রয়েছে তৃণমূলের সভাপতি তহিরউদ্দিন মণ্ডল ও সাহেবনগরের প্রধানের স্বামী মিলটনেরও। পুলিশ এখনও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াতেই ক্ষুব্ধ মানুষজন।
বুধবার নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা NRC ও CAA বিরোধী আন্দোলন করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের জলঙ্গি উত্তর চক্রের সভাপতি তহিরউদ্দিন মণ্ডলের নেতৃত্বে কিছু দুষ্কৃতী মিছিলের উপর চড়াও হয় ও দু’পক্ষের মধ্যে বচসার জেরে গুলি চললে স্থানীয় যুবক সালাউদ্দিন শেখ ও বৃদ্ধ আনারুল বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। যার মধ্যে মৃত আনারুল বিশ্বাসের ছেলেও রয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ মানুষজন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ধৃতরা নির্দোষ। তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি ও প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতেই এদিন বহরমপুর-সাগরপাড়া রাজ্য সড়কের কাছে বিশ্বাসপাড়া মসজিদের সামনে মৃতদেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। গতকালের হিংসার ঘটনার পর তামাম সাহেবনগরে এখনও কান্নার রোল। এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গোটা সাহেবনগর ঘিরে রেখেছে পুলিশ বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.