বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: দিনের ব্যস্ত সময়ে রেল অবরোধ। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর-শিয়ালদহ (Krishnagar-Sealdah) শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল। রেলট্র্যাকে পরপর দাঁড়িয়ে রইল ট্রেন। যার জেরে আটকে পড়লেন কয়েকশো নিত্যযাত্রী। জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর শাখার জালালখালি হল্ট স্টেশনে অবরোধ (Rail block) করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার ফলে এই বিপত্তি।
জানা গিয়েছে, জালালখালি হল্টে এই ‘রেল রোকো’ কর্মসূচি পূর্বনির্ধারিতই ছিল। এই স্টেশনে প্রতিটি লোকাল ট্রেনের স্টপেজ দিতে হবে, স্থানীয়দের এই দাবি দীর্ঘদিনের। রেলের কাছে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও সুরাহা হয়নি। এবার তাই দাবি আদায়ের জন্য বড়সড় আন্দোলনে নামলেন তাঁরা। সকাল থেকে আটকে শিয়ালদহগামী সমস্ত কৃষ্ণনগর লোকাল আটকে দেওয়া হল জালালখালি হল্টে। আসলে, এই স্টেশনে প্রচুর নিত্যযাত্রী। প্রতিদিন তাঁদের ট্রেনে করে নানা দিকে যেতে হয়। কিন্তু জালালখালি হল্ট স্টেশনে সমস্ত লোকাল ট্রেন থামে না। তাই সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলপড়ুয়া থেকে অফিসযাত্রী সকলকেই। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চলে অবরোধ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ২০১৭ সাল থেকে তাঁরা দাবি তুলে আসছেন, জালালখালি হল্টে সব লোকাল ট্রেন থামানো হোক। তাতে তাঁদের সকলের যাতায়াতে সুবিধা হবে। সংশ্লিষ্ট সকলের কাছেই এই আবেদন নিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু রেলকর্তারা তাতে কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। এরপর লকডাউনে দীর্ঘ কয়েকমাস ট্রেন বন্ধ থাকার পর যখন পরিষেবা চালু হয়, তখন রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, কম সংখ্যক ট্রেন চলবে। তাই সব স্টেশনে থামবে সব লোকাল ট্রেন। কিন্তু তারপরও জালালখালি হল্ট স্টেশনে সব ট্রেন থামছে না। তাই তীব্র অসুবিধার মধ্যে পড়ে মঙ্গলবার অবরোধ করেন স্থানীয়রা। জানা গিয়েছে, ৯.১০ নাগাদ রেল পুলিশ, কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় আশ্বাস দেন। তাতেই উঠে গিয়েছে অবরোধ। তবে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও অনেকটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.