সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: এবার আমফানের (Amphan) ত্রাণ বিলিতেও স্বজনপোষণের অভিযোগ। ক্ষোভে ফেটে পড়লেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের সুমতিনগরের বাসিন্দারা। প্রাপ্য ত্রাণের দাবিতে ব্যাপক ভাঙচুর চলে পঞ্চায়েত অফিস ও সদস্যদের বাড়িতে। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
মাস খানেক আগে ঘূর্ণিঝড় আমফানের দাপটে কার্যত ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। ভয়ংকরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 pargana) বিভিন্ন এলাকা। দুর্গতদের ফের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে একাধিক ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কিন্তু আদতে সেই সুবিধা পাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরাই। প্রকাশ্যে এমনই অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের ধসপাড়া সুমতিনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত দুর্গতদের যে তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে নাম নেই ক্ষতিগ্রস্তদেরই। উলটে সেই তালিকায় ঠাঁই হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যদের আত্মীয়দের! এই ঘটনার প্রতিবাদেই সোমবার দুপুরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা।
পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে দীর্ঘদিন চলে বিক্ষোভ। পরে বিক্ষোভকারীরা অফিসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই জোরপূর্বক অফিসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা।
কোনওক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এরপরই বিক্ষোভকারীরা চড়াও হন পঞ্চায়েত সদস্য সাগরিকা আড়ি ও গয়ারাম মণ্ডলের বাড়িতে। তাঁদের বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে জনতা। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশের মধ্যস্থতায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
আপাতত এলাকা শান্ত থাকলেও ফের অশান্তির আশঙ্কা করে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। প্রসঙ্গত, স্থানীয়দের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। সাগরের বিধায়ক বঙ্কিম হাজরার কথায়, “নাম অনুযায়ী ত্রাণ আসছে, হয়তো একটু সময় লাগছে কিন্তু প্রত্যেকেই ত্রাণ পাবেন।” তাঁর অভিযোগ, এদিনের অশান্তির পিছনে হাত রয়েছে বিজেপির। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কথায়, বিজেপির এতে কোনও যোগ নেই, মানুষ ত্রাণ পাচ্ছেন না তাই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.