Advertisement
Advertisement

Breaking News

পোকাধরা চাল

রেশনে পোকা ধরা চাল বিলির অভিযোগ, স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত ভাতার

বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

Local people of Bhatar stages protest in front of ration shop on tuesday
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 1, 2020 4:32 pm
  • Updated:September 1, 2020 5:02 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: রেশনে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ তুলে দোকানের সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার (Bhatar) ব্লকের বামশোর গ্রামের। গ্রাহকদের বিক্ষোভের জেরে ডিলার সামগ্রী বিতরণ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। দীর্ঘক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বামশোর গ্রামে রেশনে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ, রেশনে দেওয়া চালের গুণগতমান অত্যন্ত খারাপ ছিল। অধিকাংশ চালই ছিল লাল, পোকাধরা। সেই কারণে তা নিতে অস্বীকার করেন গ্রাহকরা। একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে রেশন দোকানের সামনে। স্থানীয় শেখ রফিক, মুজিবুর শেখরা বলেন, “এর আগে আমরা রেশনের দোকান থেকে খুব ভাল চাল পেয়েছি। লকডাউনের মধ্যে রেশনের চালের ওপরেই আমাদের সংসার চলেছে। এখন কাজ কর্ম তেমন নেই। রেশনের চাল-সহ খাদ্যসামগ্রী নিয়েই কোনওরকমে দিন গুজরান হচ্ছে। এই অবস্থায় যদি খাওয়ার অযোগ্য চাল দেওয়া হয় তাহলে আমাদের কী সুরাহা হল?” নুরনেসা বিবি বলেন, “আজ রেশনে যে চাল দেওয়া হচ্ছে তা গরু ছাগলেও খাবে না। খুবই খারাপ চাল। আমরা চাই এই চাল পরিবর্তন করে ভাল চাল দেওয়া হোক।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার, দফায় দফায় বৃষ্টিতে ভিজছে গোটা বাংলা]

রেশন ডিলার কলিমুর রহমান বলেন, “চালের মান খারাপ, একথা সত্যি। কিন্তু সরকারিভাবে এই চালই আমাদের সরবরাহ করা হয়েছে। বস্তা খুলে চাল বিলি করতে গিয়ে দেখছি চাল খারাপ। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।” ডিলারের কথায়, “আপাতত চাল বন্টন করা বন্ধ রয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছি।” এবিষয়ে ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিতে খাদ্য পরিদর্শককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ওয়েষ্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার আ্যসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক পরেশনাথ হাজরা বলেন,” আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে ডিলারদের নির্দেশ দিয়েছি, কোনও বস্তায় খারাপ মাল বের হলে সেই সামগ্রী যেন গ্রাহকদের না দেওয়া হয়। আমরা চাই গ্রাহকদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়।”

ছবি: জয়ন্ত সাহা

[আরও পড়ুন: ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা, অতিমারীতে অসহায় হিন্দু বৃদ্ধার মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন মুসলিমরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement